বাংলা চলচ্চিত্রে সালমান শাহ ও তাঁর নায়িকারা

।। ফজলে এলাহী ।।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর, সালমান শাহ শূন্যতার ২৬তম বছর। মরহুম চৌধুরী সালমান শাহরিয়ার ইমন (সালমান শাহ) প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখাটি প্রকাশ করা হলো।

৯০ দশকের শুরুতে প্রবীণ অভিনেতা অভিনেত্রীদের দাপটের মাঝে বাংলাদেশের মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির দিকপাল ক্যাপ্টেন এহতেশামের ‘চাঁদনী’ ছবির মাধ্যমে যখন নাইম শাবনাজ নামের দুটি অচেনা তরুণ মুখ দর্শকদের ভালোবাসা পায় তখনই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে নতুনদের জোয়ার। সেই জোয়ারের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩ সালে নতুন মুখের সন্ধানের সেরা প্রাপ্তি ছিল ‘চৌধুরী সালমান শাহরিয়ার ইমন ‘ যাকে সবাই ‘সালমান শাহ’ নামে আমরা চিনি। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মাঝে সোহানুর রহমানের সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিটির সুপার ডুপার বাম্পার সাফল্য পাওয়ার মধ্যে দিয়ে সালমান শাহ নামের তরুণ নায়কটিকে আমরা পাই যার সাথে আরও পেয়েছিলাম তৎকালীন সময়ের বিজ্ঞাপনের চেনামুখ মৌসুমিকে ।

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে সালমান–মৌসুমি জুটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায় এরপর এই জুটির মুক্তি পায় শিবলি সাদিকের ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪ সালের ১০ জুন), গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘স্নেহ’ (১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর) , শফি বিক্রমপুরীর ‘দেনমোহর’ (১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ) । উল্লেখ্য যে শিবলি সাদিকের সুপারহিট ‘অন্তরে অন্তরে’ ছবির শুটিং চলাকালীন সময়েই সালমান ও মৌসুমি দুজনেই ভবিষ্যতে একসাথে একই ছবিতে জুটি বেঁধে ছবি করবেন না বলে ঘোষণা দেন এবং হাতে থাকা ছবিগুলোর পর এই জুটির আর নতুন কোন ছবি হবে না । ঐ ঘোষণার পর ১৯৯৫ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া শফিবিক্রমপুরী পরিচালিত সুপারহিট ‘দেনমোহর’ ছবিটি ছিল সালমান মৌসুমি জুটির সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি যারপর দর্শকপ্রিয় এই জুটিকে আর কোন নতুন ছবিতে আমরা দেখেনি।

আজ সালমান নেই কিন্তু সালমানের সাথে সফল হওয়া অনেক নায়িকা আজো চলচ্চিত্রে আছেন অনেকে চলচ্চিত্র থেকে দূরে আছেন। সালমান ছিলেন এমনই এক নায়ক যিনি যে কোন নায়িকার ছবিতে নিজেকে সহজে মানিয়ে নিতে পারতেন তা তাঁর সব ভক্তরা গ্রহন করুক আর নাই করুক । ২৭টি ছবি দিয়েই ২৫ বছর বয়সী সালমান চিরদিন দর্শকদের কাছে তরুণদের জয়গানের নায়ক হয়ে থাকবেন বাংলা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ইতিহাসে যা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই । আমি , আমরা, সালমানের নায়িকারা ও এই ইন্ডাস্ট্রি বুড়ো হবো কিন্তু চলচ্চিত্রের সালমান কোনদিন বুড়ো হবে না যে থাকবে যুগে যুগে টগবগে তারুণ্যর প্রতীক।

সালমান মৌসুমি জুটির চারটি ছবির মধ্যে একমাত্র গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘স্নেহ’ ছবিটি ছিল গল্প ও ব্যবসায়িক দিক থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম যেখানে কাহিনীটা আবর্তিত হয়েছিল আলমগীর শাবানা’কে ঘিরেই অর্থাৎ সালমান মৌসুমির প্রেমের গল্পের চেয়ে ছবিতে আলমগীর শাবানা’র দ্বন্দ্ব সংঘাতই মুখ্য হয়ে উঠেছিল । যার ফলে ‘স্নেহ’ ছবিটি ব্যবসায়িক দিক থেকে বাকি তিনটি ছবির (কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্তরে অন্তরে ও দেনমোহর) চেয়ে পিছিয়ে ছিল বা ব্যর্থ ছিল । অর্থাৎ সালমান মৌসুমি জুটির ফ্লপ ছবি বলতে ঐ ‘স্নেহ’ ছবিটি । একটি কথা স্পষ্ট প্রমাণিত যে দর্শকরা শুরু থেকেই সালমান মৌসুমি জুটিকে বাংলা চলচ্চিত্রে রোমান্টিক ছবির অন্যতম সেরা জুটি হিসেবে ভাবতে শুরু করেছিল যা আর বেশীদিন এগোতে পারেনি আর আমরাও আরও বেশ কয়েকটি সুপারহিট ছবি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। আজো সালমান মৌসুমি জুটির ছবিগুলো সেই সময়ের দর্শকদের মনে গেঁথে আছে ও থাকবে চিরদিন।

সালমান মৌসুমি জুটি নিয়ে যখন শুরু থেকেই দর্শকদের উম্মাদনা ঠিক তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের রোমান্টিক ও সামাজিক অ্যাকশন ছবির সফল পরিচালক জহিরুল হক সালমানের বিপরীতে ক্যাপ্টেন এহতেশামের আরেক আবিস্কার নতুন নায়িকা শাবনুর’কে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘তুমি আমার’ ছবিটি যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৪ সালের ২২ মে। জহিরুল হকের ‘তুমি আমার’ ছবিটি এমনই সাফল্য পেলো যে সালমান মৌসুমি জুটির একসাথে অভিনয় না করার সিদ্ধান্তে হতাশ হওয়া চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে যেন এক নতুন পথ দেখালো ছবিটি । জহিরুল হক কতটা দূরদর্শী একজন পরিচালক ছিলেন সেটা ‘তুমি আমার’ ছবিটি দিয়ে আবারও প্রমাণ করলেন । ফলে সালমানের বিপরীতে সফল হওয়ার মতো আরও একজন নায়িকা পাওয়া গেলো যিনি এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ ছবিটি দিয়ে নজর কাড়লেও নবাগত সাব্বিরের কারণে ছবিটি ততটা সফল হয়নি যার ফলে বলা যায় শাবনুরের প্রথম সুপারহিট ছবি সালমানের সাথে ‘তুমি আমার’ । জহিরুল হক শুধু ‘তুমি আমার’ ছবিতে নয় সালমান শাবনুরকে দিয়ে জীবিতবস্থায় আরও একটি ছবিতে হাত দিয়েছিলেন যা ছিল খান আতাউর রহমানের কালজয়ী ফোক ছবি ‘সুজন সখী’র রিমেক ‘রঙ্গিন সুজন সখী’।

দুর্ভাগ্যবশত জহিরুল হক ছবিটি শেষ করতে পারেননি যার আগেই তিনি মৃত্যুবরন করেছিলেন। জহিরুল হকের মৃত্যুর পর শাহ আলম কিরন ‘সুজন সখী’ ছবিটির কাজ শেষ করে ছবিটি মুক্তি দেন ১৯৯৪ সালের ১২ আগস্ট ।

সালমান শাবনুরের প্রথম ছবি ‘তুমি আমার’ এর মতো ‘সুজন সখী’ সুপারহিট না হলেও ততটা খারাপ ব্যবসা করেনি । কারণ শহুরে স্টাইলিশ তরুনের চরিত্রের বাহিরে সালমান’কে একবারে গ্রামের লুঙ্গি পরা তরুনের চরিত্রে দর্শকরা খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি। সালমান শাবনুরের পরপর সুপারহিট ‘তুমি আমার’ ও সেমিহিট ‘সুজন সখী’ ছবির উপর যখন ইন্ডাস্ট্রি দোদুল্যমান তখনই মোহাম্মদ হান্নানের রোমান্টিক গল্পের বাহিরে তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী চরিত্রে ‘বিক্ষোভ’ (১৯৯৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর) ছবিতে দর্শকদের সামনে নতুন এক সালমানকে হাজির করেন যার বিপরীতে ছিলেন শাবনুর। ‘বিক্ষোভ’ ছবিটি ছিল রোমান্টিক ইমেজের বাহিরে সালমানের শ্রেষ্ঠ একটা ছবি যা তাঁর ক্যারিয়ারে ২য় আরেকটা নেই ।

‘তুমি আমার’ ও ‘বিক্ষোভ’ ছবির সাফল্যর পর সালমান শাবনুর জুটিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি । চলচ্চিত্রে সালমান- মৌসুমির পর সালমান – শাবনুর জুটি ছিল সুপারহিট যাদের প্রতিপক্ষ জুটি হয়ে দাঁড়িয়ে যায় ওমর সানি–মৌসুমি জুটি । মৃত্যুর আগ ও মৃত্যুর পর এই সালমানের ক্যারিয়ারে সালমান শাবনুর জুটি ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি যে জুটি আমাদের উপহার দেয় একে একে মুখলেসুর রহমানের ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ ( ১৯৯৫ সালের ১১ মে ), দিলিপ সোমে’র ‘মহামিলন’ (১৯৯৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর), শাহ আলম কিরণের ‘বিচার হবে’ (১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ) মতিন রহমানের ‘তোমাকে চাই’ (১৯৯৬ সালের ২১ জুন), বাদল খন্দকারের ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই ) , জাকির হোসেন রাজুর ‘জীবন সংসার’ (১৯৯৬ সালের ১৮ অক্টোবর) , এম এম সরকারের ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর) ‘ প্রেম পিয়াসী’ (১৯৯৭ সালের ১৮ এপ্রিল) , স্বপ্নের নায়ক – ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই , শিবলি সাদিকের ‘আনন্দ অশ্রু’ (১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট) , মতিন রহমানের ‘বুকের ভেতর আগুন’ (১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর) ছবিগুলো।

এই জুটির সবচেয়ে সুপার ডুপার বাম্পার হিট ছবি ছিল মুখলেসুর রহমানের ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ ছবিটি যা সালমান মৌসুমির ব্যবসায়িক রেকর্ড গড়া ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মতো রেকর্ড পরিমান ব্যবসা করেছিল এবং তোজাম্মেল হক বকুলের সর্বকালের সেরা ব্যবসা সফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ ছবির কাছাকাছি ব্যবসা করা ছবি হিসেবে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত ‘ ও ‘ স্বপ্নের ঠিকানা’ ছবিগুলো তালিকায় যুক্ত হয়েছিল । সালমান শাবনুর জুটির বাদল খন্দকারের স্বপ্নের পৃথিবী , দিলিপ সোমের ‘মহামিলন’ ও মতিন রহমানের ‘তোমাকে চাই’ ও শাহ আলম কিরণের ‘বিচার হবে ‘ ছবিগুলো ছিল জীবিতবস্থায় সেরা সুপারহিট ছবি এবং সালমানের মৃত্যুর পর এই জুটির সেরা তিনটি ছবি ছিল শিবলি সাদিকের ‘ আনন্দ অশ্রু’, এম এম সরকারের ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ এবং জাকির হোসেন রাজুর ‘জীবন সংসার’ ছবিগুলো । অর্থাৎ ব্যবসা ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে ছবির সংখ্যায় সালমান মৌসুমি জুটির চেয়ে সালমান শাবনুর জুটি ছিল আরও বেশী সফল । তবে শফি বিক্রমপুরির ‘দেনমোহর’ ছবিটি যদি সালমান মৌসুমির শেষ ছবি না হতো তাহলে সফলতার দিক থেকে সালমান মৌসুমি জুটি হয়তো আরও অনেক অনেক বেশী সফল হতো যা সালমান মৌসুমি জুটির মুক্তিপ্রাপ্ত চারটি ছবির ব্যবসায়িক দিক ও দর্শকদের চাহিদার বিষয়টি পর্যালোচনা করলে প্রমাণ পাওয়া যায় । সালমান শাবনুর জুটির চেয়ে সালমান মৌসুমি জুটিটি আমাদের চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা ও জনপ্রিয় রোমান্টিক জুটি রাজ্জাক কবরি জুটির পরপরেই স্থান পেয়েছিল এবং আজো সেই স্থান ধরে রেখেছে ।

মৌসুমি ও শাবনুরের পর সালমানের সাথে জনপ্রিয় জুটি হিসেবে শাবনাজকে বেশী দেখা গিয়েছিল । সালমান শাবনাজের ছবিগুলো ছিল হাফিজ উদ্দিনের ‘আঞ্জুমান’ (১৯৯৫ সালের ১৮ আগস্ট) , তমিজ উদ্দিন রিজভির ‘আশা ভালোবাসা’ (১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর) ও শিবলি সাদিকের ‘মায়ের অধিকার’ (১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর) ছবিগুলো যার মধ্য ‘মায়ের অধিকার’ ছবিটি ছিল একমাত্র সুপারহিট ছবি । শাবনুরের বিপরীতে বারবার একঘেয়ে লাগার ফলে পরিচালকরা চেষ্টা করেছিলেন শাবনাজের সাথে সালমানের একটি সফল জুটি গড়ার কিন্তু সালমানের মৃত্যু সেই জুটিটি আর বেশীদূর এগিয়ে নিতে দেয়নি । অন্যদিকে নায়িকা লিমার সাথেও সালমানের দুটি ছবি ছিল যা হলো দেলোয়ার জাহান ঝনটুর ‘কন্যাদান’ (১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ ) ও জীবন রহমানের ‘প্রেমযুদ্ধ’ (১৯৯৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর) । এরমধ্যে ‘কন্যাদান’ ছবিটি ঈদের ছবিগুলোর মাঝে ছিল সবচেয়ে পিছিয়ে বা ব্যর্থ এবং ‘প্রেমযুদ্ধ’ ছবিটি ছিল হিট ফলে লিমার সাথে সালমানের জুটিটি বেশী এগোয়নি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো নায়িকা শিল্পী ও শাহনাজের সাথে একটি ছবি করেই সুপারহিট দুটি জুটি হওয়ার আরেকটি সম্ভাবনা ছিল । শিল্পীর সাথে মোহাম্মদ হোসেনের ‘প্রিয়জন’ ও শাহনাজের সাথে ছটকু আহমেদ এর ‘সত্যর মৃত্যু নেই’ ছবি দুটো ছিল সুপারহিট এর মধ্যে শাহনাজের সাথে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল সালমানের মৃত্যুর পর । নায়িকা বৃষ্টির সাথে মালেক আফসারির ‘এই ঘর এই সংসার’ (১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল) এর মতো খুব দারুন একটি ছবি থাকলেও দর্শক সালমান বৃষ্টি জুটিকে ভালোভাবে নিতে পারেনি যা ছবিটির ব্যবসায়িক ব্যর্থতাই বলে দেয় । অথচ আমার কাছে রোমান্টিক সালমানের বাহিরে শ্রেষ্ঠ চারটি ছবির একটি হলো ‘এই ঘর এই সংসার’ ছবিটি যে ধরনের গল্পে সালমানকে সচরাচর পাওয়া যেতো না ।

আজ সালমান নেই কিন্তু সালমানের সাথে সফল হওয়া অনেক নায়িকা আজো চলচ্চিত্রে আছেন অনেকে চলচ্চিত্র থেকে দূরে আছেন । সালমান ছিলেন এমনই এক নায়ক যিনি যে কোন নায়িকার ছবিতে নিজেকে সহজে মানিয়ে নিতে পারতেন তা তাঁর সব ভক্তরা গ্রহন করুক আর নাই করুক । ২৭টি ছবি দিয়েই ২৫ বছর বয়সী সালমান চিরদিন দর্শকদের কাছে তরুণদের জয়গানের নায়ক হয়ে থাকবেন বাংলা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ইতিহাসে যা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আমি , আমরা, সালমানের নায়িকারা ও এই ইন্ডাস্ট্রি বুড়ো হবো কিন্তু চলচ্চিত্রের সালমান কোনদিন বুড়ো হবে না যে থাকবে যুগে যুগে টগবগে তারুণ্যর প্রতীক। সালমান শাহ যেখানে থাকুন ভালো থাকুন সবসময়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *