যেসব প্রযুক্তি আপনার ধারণা বদলে দেবে

আর নম্বর বা স্পেশাল ক্যারেক্টার নয়, এ বার আপনিই হয়ে উঠবেন নিজের পাসওয়ার্ড। আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই কাজ করবে পাসওয়ার্ডের। এই প্রযুক্তি অবশ্য নতুন নয়।

পাসওয়ার্ড হিসাবে চোখ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান অনেক আগে থেকেই রয়েছে। কিন্তু অতটা প্রচলিত নয়। উল্টো দিকে ম্যানুয়াল পাসওয়ার্ডের ঝক্কিও অনেক বেশি। পাসওয়ার্ড হ্যাক করে যে কেউ অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারেন। খুব দ্রুত আপনার পাসওয়ার্ড বদলাতে চলেছে এই ৫টি প্রযুক্তি। যা অনেক বেশি নিরাপদ।

জেনে নিন যেসব প্রযুক্তি আপনার ধারণা বদলে দেবে।

১. ফিঙ্গারপ্রিন্ট
এই পদ্ধতিটি ভীষণ ভাবে নিরাপদ। কারণ মাতৃগর্ভ থেকে মৃত্যু— ফিঙ্গারপ্রিন্ট কারও বদলায় না।

২. ভয়েস
ভোকাল ট্রাক জিওমেট্রি, কন্ঠস্বর, পিচ এবং কন্ঠস্বরের ব্যপ্তি পরিমাপ করে পাসওয়ার্ড স্থির করা হয়।সে ক্ষেত্রে অনলাইন অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার জন্য সিস্টেমের সঙ্গে কন্ঠস্বরের পরিচিতি করাতে হবে।

৩. রেটিনা স্ক্যান
১৯৮০ সালে এই প্রযুক্তি প্রথম চালু হয়। তবে তখন এই প্রযুক্তি অতটা উন্নত ছিল না। এ ক্ষেত্রে রেটিনার ভিতরে থাকা রক্তনালীর নমুনা স্ক্যান হয়। জাপানের একটি সংস্থা তাদের স্মার্টফোনে এমন একটি প্রযুক্তি এনেছেন। অনলাইন পেমেন্টের সময় বিভিন্ন ব্যাংক গ্রাহকের রেটিনা স্ক্যান করে লেনদেন সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

৪. হৃদস্পন্দন
এ ক্ষেত্রে কব্জি বন্ধনের মধ্যে একটি চিপ থাকে। সেটিই হৃদস্পন্দন সেন্সর। টরন্টোর একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রয়েল ব্যাংক অব কানাডা গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা এনেছিল।তবে তুলনামূলক জটিল পদ্ধতি হওয়ায় এই প্রযুক্তি খুব একটা প্রচলিত নয়।

৫. ফেসিয়াল বায়োমেট্রিক
এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ মুখের স্ক্যান করে গ্রাহকের পরিচয় যাচাই করা হয়।আপাতত এটাই সবচেয়ে সুরক্ষিত বলে দাবি করে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *