হিটলার সম্পর্কে অজানা তথ্য

অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রিয়াতে। তিনি জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে হিটলার বার্লিনেই ছিলেন। রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরারবাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন।

হিটলার সম্পর্কে অজানা তথ্য

১. হিটলার যে জিনিসটিকে মারাত্মক ভয় পেতেন। সেটি হলো বিড়াল।

২. হিটলারের জীবনের প্রথম প্রেম ছিলেন একজন ইহুদি তরুণী। ভাবতে পারেন, যে হিটলারের নামে কাঁপত দুনিয়া, সেই হিটলারই ভয়ের চোটে সেই তরুণীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি।

৩. অ্যাডলফ হিটলার নামে যাকে চেনেন, তাকে অন্য নামে চেনার কথা ছিল। ‘হিটলার’ নয়, ‘শিক্লগ্রুবার’। তার বাবা পরে দ্বিতীয় নামটি পাল্টে দেন। তবে নামে আর কী-ই বা আসে-যায়।

৪. হিটলারের গ্যাসের সমস্যা ছিল প্রবল। ২৮ রকমের ওষুধ খেতেন।

৫. আধুনিক যুগের ধূমপানবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাতটা কার হাত ধরে হয়েছিল জানেন? হিটলার।

৬. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে একজন ব্রিটিশ সেনা এক জখম জার্মানকে প্রাণভিক্ষা দিয়েছিলেন। সেই জার্মানের নাম কী জানেন? অ্যাডলফ হিটলার।

৭. হিটলার ছিলেন নিরামিশাষী। পশুপ্রেমী হিসেবেও তার সুখ্যাতি ছিল।

৮. মাত্র ৪ বছর বয়সেই জলে ডুবে প্রায় মারা যাচ্ছিলেন হিটলার। এক ব্যক্তি কোনোক্রমে তাকে বাঁচান।

৯. ১৯৩৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য হিটলার মনোনীত হয়েছিলেন।

১০. কিশোর হিটলারের স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে সে একজন পাদ্রী হবে। ভাবা যায়!

১১. হিটলারের খাবারে স্ত্রী-হরমোন মিশিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন মার্কিন গুপ্তচরেরা। উদ্দেশ্য ছিল, হিটলারকে মহিলাদের মতো করে তোলা।

১২. ১৯১৩ সালে ভিয়েনায় প্রায় একই এলাকায় একসঙ্গে কারা থাকতেন জানেন? বুক কেঁপে উঠবে— হিটলার, স্তালিন, ট্রটস্কি, টিটো এবং ফ্রয়েড। এমন ‘অক্ষশক্তি’কে কী বলবেন?

১৩. হিটলার মনে করতেন, তার মতো হ্যান্ডসাম দুনিয়ায় আর কেউ নেই। তাই রাজনৈতিক ফায়দার জন্য অবিবাহিত ছিলেন।

১৪. হিটলারের শাসনকালে তার আত্মজীবনী জার্মানির সব নবদম্পতিকে দেয়া হত উপহার হিসেবে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *