:: এ টি এম গোলাম কিবরিয়া ::
১.
নজরুলকে পাঠ করার সময় আমি মাথায় রাখি আমি শুধু একজন সাহিত্যিক বা সংগীতকারকে পাঠ করছিনা, আমি একজন কালচারাল আইকনকে ও দেখছি। একটা জাতির সাংস্কৃতিক ইতিহাসযাত্রা চিহ্নিত করতে যখন ব্যখ্যাকারেরা পেছন ফেরে নিশান খোঁজেন, তারা এমন কিছু আলোকস্তম্ভ খোঁজেন যারা অনুকারক নন এবং যে স্তম্ভগুলোর বাতি নিভে গেলে পথ আর খুঁজে পাওয়া যেতোনা। এই আলোকস্তম্ভদের আমি কালচারাল আইকন বলছি, আইকন বলছি তাদের যারা আমাদের লিটারেরি ক্যাননের অংশ এবং আমাদের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক স্মৃতির শরীক। হাবিলদার কাজী নজরুল ইসলাম যে আমাদের লিটারেরি ক্যাননের অংশ, তা নিয়ে কারো কোন আপত্তি আমি দেখিনি। আমি এই লেখায় চেস্টা করবো কিছু অমীমাংসীত প্রশ্নের পুনরুত্থানে উসকানি দিতে এবং নজরুলের সৃষ্টি, তার সময় ও তাকে নিয়ে চলিত লেজেন্ডসগুলোর বুড়ি ছুঁয়ে যেতে।
২।
১৯২১ এক আশ্চর্য আগুনখেকো সময়।
ভারতবর্ষ জুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের উম্মাদনা, মোহনদাস গান্ধী নামের আফ্রিকাফেরত এক ক্ষীনকায় লোক মিথের দেবতার মতন প্রকান্ড হয়ে উঠছেন, অভিজাত ব্যারিস্টার চিত্তরঞ্জন দাশ কলকাতায় ঘোষনা দিচ্ছেন তিনি আর স্যুট-বুট পড়বেননা, সুভাষচন্দ্র বসু আইসিএসের তৈয়ারী ছেড়ে দিয়ে পুরোদস্তুর পলিটিক্সে জড়িয়ে পড়ছেন…
দেশপ্রেম যদি মানুষের মতো দেখতে হতো, যদি একটা জীবনচক্র থাকতো তার, আমরা বলতে পারতাম মানুষটি তার যৌবনে প্রবেশ করছে।
এইরকমই এক গনগনে সময়ে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধফেরত এক বাঙালী যুবক, চুরুলিয়ার এক মুয়াজ্জিনের ছেলে লিখলো “বিদ্রোহী” কবিতা আর তা বল্লমের মতন সাঁই সাঁই করে গিয়ে বিঁধে ফেললো সময়ের হৃদয়কে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অদীক্ষিত এক যুবক কিভাবে পড়ে ফেললো বাংলাদেশের মন?
৩।
সাহিত্যে ধ্রুপদী ও জনপ্রিয় বলে একটা বিভাজন আছে। নজরুলের কবিতা ও গদ্যকে তার বেঁচে থাকার সময়ে ক্লাসিকসের মর্যাদা দেয়া হয়নি। এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য। তার জীবনকে সেলিব্রেইট করা হচ্ছে, তাকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন চিত্তরঞ্জন দাশ ও সুভাষ বসুরা মিলে অথচ তার সাহিত্যিক কলিগেরা তাকে ভাবছেন সময়সমুদ্রের ফেনা। নজরুল নিজের কলমে লিখেছিলেন এই “ফেনায়িত ঈর্ষাসিন্ধুর” কথা।
এই ধাঁধার সমাধানে আমরা দেখবো দুইটি নজরুলকে। জনমানসে “নায়ক” আসনে অধিষ্ঠিত নজরুল আর সাহিত্যের নজরুল।
নজরুল বাংলাভাষার প্রথম কবি যিনি লেখার কারণে জেলে গিয়েছিলেন। তার লেখার “বীররস” তৎকালীন পরাধীন ভারতবর্ষের সাহিত্যিক পরিমণ্ডলে অস্বস্তির যোগান দিলে ও তিনি জনতার হৃদয়ে অভিষিক্ত হয়ে গিয়েছিলেন মহাসমারোহে। ওই উত্তাল সময়ে যে লোকটি চিৎকার করে সত্য বলছিলেন, তাকে মানুষ আপন ভেবেছিলো, এটাই সত্যি। বয়স পঁচিশ পেরুনোর আগেই তিনি “সেলেব্রিটি” হয়ে উঠেছিলেন, মফস্বলে মফস্বলে সংবর্ধিত হতে শুরু করেছিলেন। তার শিল্পজীবনের দ্বিতীয় দশকে তিনি যখন সংগীতে মনোনিবেশ করলেন, তখন আরেকদফা তার আলো ছড়িয়ে পড়লো বাংলাদেশে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরে জনপ্রিয়তার এমন তিলক আর কোন বাঙালী সাহিত্যিকের ললাটে জোটেনি। শীতল ঋষি রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা প্রেমে পড়লো এক আগ্নেয়গিরির। এটা একটা যুগান্তকারী ঘটনা ছিলো কারণ বাংলা সাহিত্যের মহারথীদের ( রবি ঠাকুর, বঙ্কিম, মধুসূদন) সবার “পেডিগ্রি” ছিলো, নজরুলের ছিলোনা। নজরুল আপাদমস্তক “Mass” এর অংশ ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের বনেদী অন্দরমহলে ঢুকতে তাই তিনি ধ্রুপদে যাননি, চারণে গিয়েছেন। চারণকবির মতন বাঁশি নিয়ে ঢুকে পড়েছেন ক্ল্যারিওনেট আর তানপুরার আসরে……যন্ত্রীরা হতচকিত হলে ও দর্শক তাকে করতালিতে স্বাগত জানিয়েছিলো।
বুদ্ধদেব বসুর মতন ক্লাসিসিস্টেরা নজরুলের লেখার সমালোচনা করেছেন লেখার “উচ্চস্বর ও কোলাহল্প্রিয়তার” জন্য। গুনে গুনে দেখিয়েছেন “বিদ্রোহী” কবিতায় কয়বার “আমি” এসেছে। “শনিবারের চিঠি” তে ছাপা হয়েছিলো বিদ্রোহীর প্যারোডি। বুদ্ধদেবের নন্দনতত্ত্ব ইউরোপ থেকে আসা, আধুনিকতাবাদ যার নাম। এই নন্দনতত্ত্ব দিয়ে তারা “উত্তর-রবীন্দ্রনাথ” কবিতা লিখতে চেয়েছিলেন, সফল ও হয়েছিলেন। নজরুলকে তারা তাদের খোপে বাঁধতে পারেননি কারণ নজরুল কলাকৈবল্যবাদে বিশ্বাসী ছিলেননা। তিনি আন্দোলন নিয়ে কবিতা লিখছেন, দাঙ্গার পরে লিখছেন কান্ডারী হুঁশিয়ার আবার বেহুঁশ মুসলমানদের জাগানোর জন্য লিখছেন পুনরুজ্জীবনবাদী কবিতা। মডার্ণ এস্থেটিক্সের প্রধান প্রস্তাবনা হলো “Feel” আর নজরুলের কবিতার প্রধান প্রনোদনা হলো “Act”। একারণে আধুনিকতাবাদীরা নজরুলের কবিতার নন্দন বিচার করেছেন ভুল বীক্ষনযন্ত্র দিয়ে, বসুর কাছে মনে হয়েছিলো নজরুল মানে “এলিট ও অদীক্ষিত পড়ুয়ার অন্তঃস্থ সেতু”। আমরা এখনো এই নন্দনতত্ত্বের হেজেমনিতেই আছি। কবিতা ও গল্প মানে নিচুস্বরে ব্যাক্তির সাথে ব্যাক্তির কথোপকথন, কোন ব্যাক্তি যদি সমষ্টির কণ্ঠস্বর হয়ে সমস্টির কানে পৌঁছুতে চায়, তাকে আমরা আমাদের সাহিত্যসামগ্রীর দোকানে কোন তাকে রাখবো, সে ব্যাপারে আমাদের দ্বিধা রয়ে গেছে আজো।
রাজনৈতিক চেতনার ক্ষেত্রে নজরুল তিনটি বাঁধা ডিঙ্গিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি পরাধীনতা, শ্রেনী ও সাম্প্রদায়িকতা এই তিন থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন। তার পূর্বসুরীরা কেউ শ্রেনী থেকে মুক্তি চাননি, আবার কেউকেউ সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরোধী হননি। একইসাথে স্বরাজ ও সাম্যবাদ চাওয়া প্রথম বাঙালী কবি তিনি। “স্বরাজ” নামে পার্টি করেছেন, “সাম্যবাদী” নামে কবিতার বই লিখেছেন, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার কারনে তার ছয়টি বই নিষিদ্ধ ও হয়েছিলো। একইসময় বুদ্ধদেব বসুর বই নিষিদ্ধ হচ্ছে অশ্লীলতার অভিযোগে। যেই দেশ স্বাধীন না, সেই দেশে কি ব্যাক্তি স্বাধীন থাকতে পারে, ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদ উপভোগের জিহ্বা কি সেই দেশে পাঠকের কাছে প্রত্যাশা করা যায়?
এই নিষিদ্ধ লেখকটিই যে জনমানুষের মাথার তাজ হয়ে উঠবে, সেটিই কি স্বাভাবিক নয়?
৪।
“মৃতুক্ষুধা”য় আমরা দেখি প্রোটাগনিস্ট আনসারকে ক্রমশ চরকা ছেড়ে কমিউনিস্ট হয়ে উঠতে আর “ব্যাথার দান” গল্পে দেখি দুই চরিত্র “দারা” ও “ সয়ফুলমুলক” একান্ত ব্যাক্তিগত বেদনা ভুলতে “লালফৌজে” যোগ দেয়। আনসার চরিত্রটি সম্ভবত নজরুলের বন্ধু কমরেড মোজাফফর আহমেদের প্রতিরুপ আর দারা ও সয়ফুলমুলক হতো বেলুচিস্তানে থাকার সময়ে পাওয়া কোন চরিত্র। ১৯১৯ সালে এক বাঙালী লেখক তার নায়ককে লেনিনের হয়ে যুদ্ধ করতে ককেশাসে পাঠাচ্ছেন, এই অসম্ভব ঘটনার পেছনে শুধু অমিত কল্পনাশক্তি নয়, সাথে আছে সমসাময়িক দুনিয়ার উপর কড়া নজর আর সাম্যবাদী ইউটোপিয়ার প্রতি অঙ্গীকার।
বহুবছর পরে আমরা দেখতে পাই, ভারতবর্ষের বাংলা, পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ু থেকে কতিপয় যুবক আসলেই রাশান বিপ্লবে সারথী হতে গিয়েছিলো। পূর্ব বাংলার বরিশালের গোলাম আম্বিয়া লোহানী নামের এক যুবক রাশান বিপ্লবের আকর্ষনে রাশিয়া গিয়েছিলেন এবং সেখানেই নিহত হন।
লোহানী এবং নজরুলের মাঝে যোগাযোগ ছিলোনা কিন্তু এক অদ্ভুত সমাপতনে নজরুলের সাহিত্যিক অভীপ্সা লোহানীর জীবন হয়ে ওঠে।
৫।
কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের রাজনৈতিক ন্যারেটিভে কিভাবে আত্মীকৃত হবেন তাই নিয়ে বিবিধ সময়ে রাজনীতি হয়েছে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা যে কালচারাল আইকনদেরকে একটা জনগোষ্ঠী তার পলিটিক্যাল এস্পিরেশনে ভাষা যোগানোর খাতিরে আত্মসাৎ করবে। যে অংশটা ন্যারেটিভের সাথে যাবে, তাকে গ্রহন করবে আর যা অস্বস্তি যোগায়, তাকে বর্জন করবে।
তার মুসলমান কবি পরিচয়, আরবী-ফার্সি ব্যবহার ( কবিতায় রক্তের বদলে খুন ব্যবহার করার কারণে রবীন্দ্রনাথ দ্বারা অভিযুক্ত হলে জবাবে লিখেছিলেন “বাংলার কাব্যলক্ষীকে ইরানী জেওর পরালে তাতে তাকে আরো খুবসুরত দেখায়”) , একইসাথে শ্যমাভক্তি ও নবীভক্তি, মানবতাবাদী কিন্তু প্রয়োজনীয় সহিংসতার পক্ষে থাকা, মুসলমান জনগোষ্ঠীর জন্য তার দরদ এসব কিছু থেকে একটা আদি ও অকৃত্রিম নজরুলীয় এসেন্স খুঁজে বের করা কঠিন ছিলো পাকিস্তানী শাসকদের জন্য।
তারা সবচাইতে সহজ পথটা গ্রহন করেছিলো। সাতচল্লিশের পরে পাকিস্তানের মতাদর্শিক আধিপত্য কায়েমে নজরুলকে খাড়া করানো হয়েছিলো রবীন্দ্রনাথের বিপরীতে। নজরুলের কবিতার “মুসলমানীকরনে” উদ্যোগী হয়েছিলেন গোলাম মোস্তফারা। বর্ণিল নজরুল থেকে নেয়া হয়েছিলো মুসলিম জাতীয়তাবাদী অংশটুকু। পাকিস্তানের জাতীয় সাহিত্য কেমন হবে তার একটা রুপ আমরা দেখতে পেয়েছিলাম সেইসময়। নজরুল একাডেমী ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চালু হয়েছিলো মূলত এই আদর্শ মাথায় রেখে।
একাত্তরের পরে তার পুনরায় অধিষ্ঠান ঘটেছে “অসাম্প্রদায়িক” হিসেবে কারণ এটা বাঙালী জাতিবাদীদের আকাঙ্খা। কিন্তু এটিকে ও প্রব্লেমাটাইয করে দেয়া যায় এই বলে যে তিনি তাহলে খেলাফত আন্দোলনের পক্ষাবলম্বন কেন করেছিলেন? অথবা তিনি কেন অসংখ্য নাত লিখেছিলেন? উত্তরটা হয়তো এই যে তিনি তার সম্প্রদায়পরিচয় নিয়ে লজ্জিত ছিলেননা, তাদের মঙ্গল কামনা করতেন এবং একইসাথে অপর সম্প্রদায়ের প্রতি তার হাত বাড়ানো ছিলো। প্রথমপ্রজন্মের বাঙালী মুসলিম ইন্টেলেজেন্সিয়ার অংশ হিসেবে তিনি রাজনৈতিকভাবে হিন্দু-মুসলমান মিলনকে সম্ভব মনে করতেন, পরবর্তী প্রজন্ম যেটা ভাবেনি। পশ্চিমে যে অর্থে সেক্যুলার শব্দটি ব্যবহৃত হয়, তিনি সেই অর্থে সেক্যুলার ছিলেন।
ব্রিটিশ পিরিয়ডে যিনি “বিদ্রোহী” ছিলেন, পাকিস্তান আমলে তিনি “মুসলিম পুনর্জাগরনণবাদী” আর স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি “ অসাম্প্রদায়িক”। এই তিনটা বিশেষন নজরুলচিন্তার রাজনৈতিক ইতিহাসযাত্রা সম্বন্ধে আমাদের একটা ধারণা দেয়। এরা নিঃসন্দেহে ওভারল্যাপ করে, কিন্তু ডমিন্যান্ট চিন্তার অভিমুখ খুঁজলে আমরা এইখানে পৌঁছুবো।
৬।
নজরুল বিষয়ক মিথের বাগানে আমরা যদি কিছু চাবিশব্দ খুঁজতে চাই, তাহলে পাবো অভিমান, প্রাণস্ফূর্তি আর আগুন।
ইংরেজিতে/ফ্রেঞ্চে একটা কথা আছে “ Joie De Vivre “ বাংলায় আমরা বলতে পারি “জীবনের আনন্দ” বা “আনন্দের জীবন”। নজরুলের কাছে এই আনন্দ, এই স্ফূর্তি ছিলো জীবনের সারাৎসার। তিনি কখনো হাফ কমিটেড ছিলেননা। শোপেনহাওয়ারের নায়কের মতন পৃথিবীকে তার আকাঙ্খার প্রতিরুপ বানানোর তীব্র আকাঙ্খা ছিলো তার। এইরকম মর্মন্তুদ দারিদ্রপীড়িত শৈশব, এত ব্যাথার মণিহার গলায় নেয়ার পরে ও তার নায়কদের মতন তিনি অনুতাপহীন আশাবাদী ছিলেন। তার যে মজলিসি সত্তা, ক্যারিশমার মিথ আমরা শুনি, সেই সম্মোহনী ক্ষমতার সূত্র এই অপার আনন্দের বোধ। অপরিমিতি এই অপার আনন্দের অপর পিঠ। পারিবারিক ট্র্যাজেডি, পলিটিক্যাল ট্র্যাজেডি সবকিছুই তার কবিতার, লেখার, গানের অংশ। একটা অবিভাজ্য সত্তার মতন তার জীবন ও সাহিত্য পরস্পর লেপ্টে থাকে, একে অপরের থেকে জীবনরস শুষে নেয়। তিনি এই দুটো জগতকে আলাদা করেননি, করতে চাননি। বুদ্ধদেবের জন্য ছিলেন বোদলেয়ার, নজরুল দিওয়ানা ছিলেন হুইট্ম্যানের অথচ কি আশ্চর্য, বোদলেয়ারের জীবন আর তার জীবন এক হয়ে আছে ট্র্যাজেডিতে। প্রকৃত কবিজীবন কেমন হবে, গোলাপের নিচে নিহত সব কবিকিশোরদের তিনি যেন আগাম জানিয়ে দিলেন সেই সংবাদ।
আমাদের আইকনোগ্রাফির ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় ছবি হচ্ছে নজরুলের সেই বিখ্যাত পোস্টার যেখানে লেখা “ ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি” আর ছবিতে আমরা দেখছি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন এক নির্বাক লোক ও প্রাক্তন কবি।
লোকটি, বাগিচার বোবা বুলবুলিটি আমাদের কি বলতে চায়?