ফিলিস্তিনের গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি বর্বরতার হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজসহ ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংহতি সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে ফিলিস্তিনে চলমান নৃশংসতার ক্ষোভ জানিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি, আরব লীগসহ সকল বৈশ্বিক সংগঠনসমূহকে এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। পশ্চিমাদের হঠকারী ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ইহুদীদের প্রভাব বলয়ের বাইরে গিয়ে আজ আর স্বাধীনভাবে কোন নীতিনির্ধারণ করতে পারছেনা। পশ্চিমাদের নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তগুলোতেও ইহুদী বলয়ের প্রভাব আজ খুবই দৃশ্যমান। যেই দখলদারদের আজ তারা মদদ যোগাচ্ছে, একসময় তারা মদদদাতাদেরও ছাড় দিবেনা। তাই এখনই এই অপশক্তিকে রুখে দেয়া জরুরি।
২০০৬ থেকে গাজা অবরুদ্ধ হওয়ার কারণে ফিলিস্তিনিরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই বললে চলে।
বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীরা তাদের টিউশন ফি দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সংহতি সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ শিক্ষা বৃত্তির আবেদন জানানো হয়। বক্তারা জানায় ফিলিস্তিনের অর্থ সাহায্যের চাইতেও বেশি প্রয়োজন ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের স্বাধীনতার জন্য শক্তিশালী নৈতিক সমর্থন ও রাজনৈতিক অবস্থান।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কানেতা ইয়া লাম লাম, মানসুরা আলম, নাহিদুজ্জামান শিপন, আবিদ হাসান, মেহেদী হাসান; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহরিয়ার হক মজুমদার, সাইফুল ইসলাম; বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুফতিজুল কবীর কিরণ, অপু খান, মেডিক্যাল কলেজের কাজী তালহা ফয়সাল, হাবিব আহসান ও ঢাকা কলেজের মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ডা. মমি আনসারীর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংহতি সমাবেশ শেষ হয়।