:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৮ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- নোয়াখালীর শহীদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হেলাল, কুমিল্লার মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের আসিফ, চাঁদপুরের রুকু মিয়া এবং গাজীপুরের টঙ্গীর ইমাম হোসাইন রনি।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় নিযুক্ত বাংলাদেশের কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আরিফুজ্জামান বলেন, বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে দশজন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, সৌদি আরবে ওই দুর্ঘটনার পর কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ জন বাংলাদেশিকে পাওয়া গেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাঁদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ–খবর নেওয়া হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে- আহত ও নিহতদের সম্পর্কে সার্বিক বিষয়ে জানতে সৌদি দূতাবাসের দুটি হট নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন স্বজনরা। নাম্বার দুটি হলো- +৯৬৬৫৩৮৬৪৩৫৩২ ও +৯৬৬৫৫৩০২৬৮১৪।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগ সড়কের আকাবা শার সেতুতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ব্রেক কাজ না করায় সেতুটির ওপর উলটে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। দুর্ঘটনাস্থলে তারা সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠায়। খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কায় যাচ্ছিলেন।
সৌদি সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগকারী ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আকাবা শার সড়কের একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি বাস উলটে যায় এবং তাতে আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের কাছাকাছি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আকাবত শার ১৪ কিলোমিটার সড়কটি ৪০ বছর আগে উদ্বোধন হয়েছিল। সৌদি প্রেস এজেন্সি অনুসারে, এ সড়ক নির্মাণে পাহাড় কেটে ১১টি টানেল এবং ৩২টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল।