অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত ধরে ঢুকে পড়েছে কৃত্রিম ডিম। কৃত্রিম এই ডিমের খোলস তৈরি করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে।
ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ তৈরি হয়েছে সোডিয়ামজাত রাসায়নিক, খাবার সোডা, জিলেটিন প্রভৃতি রাসায়নিক দিয়ে। বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে যে রাসায়নিক পদার্থ থাকে না, তা নয়। তবে কোন খাবারে কী পরিমাণে রাসায়নিক থাকবে তার নির্দিষ্ট মাপকাঠি আছে।
সাধারণত আসল ডিমের সঙ্গে এই কৃত্রিম ডিমের তফাত প্রায় নেই বললেই চলে। তবে কিছু সূক্ষ্ম ফারাক আছে।
জেনে নিন কৃত্রিম বা নকল ডিম চেনার উপায়।
১. নকল ডিমের খোলস সাধারণ ডিমের থেকে একটু বেশি উজ্জ্বল হয়। খালি চোখে ফারাকটা তেমন বোঝা যায় না। তবে খেয়াল করলে বোঝা যায় বাড়তি উজ্জ্বল নকল ডিমের খোলা।
২. সাধারণ ডিমে সাধারণত মাংস জাতীয় গন্ধ থাকে, যা এই কৃত্রিম ডিমে থাকে না।
৩. নকল ডিম ঝাঁকালে ভিতরে তরলের নড়াচড়ার শব্দ পাওয়া যায়৷ সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে যা হয় না।
৪. ডিম ভাঙার ক্ষেত্রে সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে যে আওয়াজ হয়, তা কৃত্রিম ডিম ভাঙার সময় হয় না।
৫. কৃত্রিম ডিম ভেঙে রাখলে ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ মিশে যায়। রাসায়নিক কারণেই একই জাতীয় পদার্থ মিলেমিশে যায়৷ সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে তা হয় না।
৬. ভাজার জন্য কৃত্রিম ডিমের কুসুম কড়াইতে দেওয়া মাত্র তা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে তা ছড়িয়ে দিতে হয়।