:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
ঈদের অগ্রিম টিকিট পেতে আজও রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। অপেক্ষা ও ভোগান্তি কমছে না টিকিটপ্রত্যাশীদের। অনলাইনে টিকিট ডাউনলোডে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশনে আসা টিকিটপ্রত্যাশীরা।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) ভোর থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে রয়েছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গত শনিবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আজ সকাল ৮টা থেকে বিক্রি হচ্ছে ১লা মে –এর টিকিট।
কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, কাউন্টারগুলোয় টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কেউ গতকাল সন্ধ্যায় স্টেশনে এসেছেন। কেউ এসেছেন রাতে আবার কেউ এসেছেন সেহরিতে।
এবার আন্তনগর ট্রেনের ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার টিকিট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এসব টিকিটের অর্ধেক অনলাইনে এবং বাকি অর্ধেক স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি হবে। এ সময় যাত্রীরা অভিযোগ করেন অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার ও কালোবাজারির।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন সূত্র জানিয়েছে, ১ থেকে ৮নং কাউন্টারে আলাদা আলাদা ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে। ১ নং কাউন্টারে মহিলা, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাশ টিকিটের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২ নং কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), ৩ নং কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন, ৪ নং কাউন্টারে মহানগর গোধূলী ও মহানগর এক্সপ্রেস, ৫ নম্বরে তূর্ণা এক্সপ্রেস, ৬ নং কাউন্টারে চট্টলা ও বিজয় এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), ৭ নম্বর কাউন্টারে মেঘনা এক্সপ্রেস, চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। বাকি কাউন্টারে অন্যান্য ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে। যাত্রীদের মাঝে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম স্টেশনে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে প্রতি বছরের মতো এবারও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে প্রতিদিন ছেড়ে যাওয়া দেশের বিভিন্ন রুটে ১০ আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ হাজার ৩৪টি টিকিট বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে অর্ধেক টিকিট চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের কাউন্টারে এবং অর্ধেক অনলাইনে পাওয়া যাবে।
তবে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, আজ ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কমলাপুর রেল স্টেশনে কাউন্টার আছে ২৩টি। এর মধ্যে ১৬টি কাউন্টার থেকে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
কাউন্টার থেকে এক ব্যক্তি চার জনের টিকিট কাটতে পারছেন। তবে তার জন্য প্রত্যেক যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষ্যে আগে বিভিন্ন সময় টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য এবার কালোবাজারি বন্ধে টিকিট কেনার সময় যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি কাউন্টারে দেখাতে হচ্ছে।
এবার ঢাকার কমলাপুর স্টেশনসহ পাঁচটি স্থানে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ঈদযাত্রার প্রতিটি ট্রেনে নারী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে আলাদা কোচ সংযোজন করা হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষ্যে ছয়টি বিশেষ ট্রেন চলবে। এগুলো হচ্ছে: চাঁদপুর স্পেশাল দুই জোড়া, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল এক জোড়া, শোলাকিয়া স্পেশাল দুই জোড়া, খুলনা স্পেশাল এক জোড়া। এসব ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে না।