:: নাগরিক প্রতিবেদক ::
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আসাদুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপি মোশাররফ হোসেন বলেন, দুর্নীতির এই মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে গত ১ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সম্প্রতি আদালতে প্রতিবেদন এসেছে, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। এ নিয়ে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পলাতক আসামি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিচারক ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি ক্রোক করার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গ্রহণ করে গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা নিয়ে পৃথক তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারেক-জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হয়। এই দম্পতি ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
ওই দিন হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় তাদের রিট গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী এ মামলা পরিচালনা করতে পারবে না। একই সঙ্গে এ মামলার যাবতীয় নথিপত্র ঢাকার বিচারিক আদালতে পাঠাতে বলেছেন। পাশাপাশি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। সেখানে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরে একই বছর তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন। এরমধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। আসামিরা মামলা বাতিলের আবেদন করলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর স্বপরিবারে লন্ডনে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই তারা বসবাস করছেন। ইতোমধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ চার মামলায় সাজা হয়েছে তারেক রহমানের।