:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কেই মারা গেছেন আট হাজার ৫৭৪ জন। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছেন দুই হাজার ৫৩০ জন।
তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ।
সোমবারের এই ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল ধসে পড়েছে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পরই ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী আরেকটি কম্পনও দেশদুটিকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বৈরী আবহাওয়া, সম্পদ ও ভারী যন্ত্রপাতির স্বল্পতার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো ও সেখানে উদ্ধারকাজ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন নিহত মানুষের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ আফাদ জানিয়েছে, কমপক্ষে ২ হাজার ৮৩৪টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে শতাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
তুরস্কে প্রায় এক কোটি ৩৫ লাখ মানুষের উপর ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে৷ দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা আফাদ জানিয়েছে, পাঁচ হাজার ৭৭৫টি ভবন ধ্বংস হয়েছে৷ভূমিকম্পের পর ২৮৫টি ‘আফটারশক’ হয়েছে৷
ইউনিসেফ মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন, ভূমিকম্পে কয়েক হাজার শিশু মারা গিয়ে থাকতে পারে৷
এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও ‘আমরা জানি অনেক স্কুল, হাসপাতাল ও অন্যান্য মেডিকেল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’৷ উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া ও তুরস্কে থাকা সিরীয় শরণার্থীরা বেশি অসহায় অবস্থায় আছেন বলেও জানান তিনি৷
সোমবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়েছে একাধিক ভবন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে মিশর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও।