সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। এ কথা সবাই জানে। তবে এই গরমে ফর্সা ত্বকও রোদে পুড়ে কালো হয়ে যায়। কিন্তু মেয়েদের মতো ছেলেরা মেকআপের ধার ধারেন না। তবে সৌন্দর্য বজায় রাখতে বেছে নিতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক গুণে ত্বকে আসবে উজ্জ্বলতা।
পুরুষদের ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা জেনে নিন।
১. ত্বকের যত্ন নিতে অ্যালোভেরা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
২. অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে পলিস্যাকারাইড, ল্যাকটিনস, প্রচুর পরিমাণ মিনারেলস্ ও ভিটামিন। যা ত্বকের সুস্বাস্থ্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
৩. অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে। এটি ত্বক খুব ভালো হাইড্রেট করে ও ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। ত্বকের সতেজতা বজায় রাখে।
৪. অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। ত্বকের উপর ব্রণের সম্ভাবনা এটি দূর করে।
৫. অ্যালোভেরা অ্যান্টিএজিংয়ে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
৬. অ্যালোভেরার কুলিং ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। ত্বকে কোনওরকম ব্যথা ও যন্ত্রণা হলে তা থেকে রেহাই পেতে পারেন এর সাহায্যে। সেইসঙ্গে ত্বকের উপর সানট্যান পড়লে, পোকামাকড়ের কামড়ালে ও অ্যালার্জি হলে কড়া মোকাবিলা করে অ্যালোভেরা। সব মিলিয়ে ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
৭. এদেশের আবহাওয়া এমনই, যে ত্বকের উপর খুব তাড়াতাড়ি ট্যান পড়ে। প্রত্যেকদিন অ্যালোভেরা ব্যবহারে ত্বকের উপর থেকে ট্যান দূর হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। প্রত্যেকদিন অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহারে ত্বকে আশানুরূপ পার্থক্য দেখতে পাবেন।
৮. ফুটন্ত গরম পানিতে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে শুষ্ক গরম অবস্থায় কটন বল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করলে ব্ল্যাক হেডস রিমুভ হয়ে যাবে। এটি সপ্তাহে ২-৩ দিন করলে উপকার পাবেন এবং ব্ল্যাক হেডস দূর হয়ে যাবে।
৯. অনেক সময় ত্বকে ক্ষত দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষতে নির্ভয়ে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এতে ক্ষত স্থান দ্রুত মসৃন হয়।
১০. পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এক্ষেত্রে সাবধানতা হলো, অ্যালোভেরার রস ত্বকে লাগিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না। তাতে উল্টো ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।