:: নাগরিক ক্রীড়া ডেস্ক ::
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫৯ রান। শেষমেশ ইংল্যান্ডকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১ রানে টেস্ট হার মেনে নিতে হয়। এমন রুদ্ধশ্বাস টেস্ট জয়ের নজির ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কোনও দলের ছিল না। ৩০ বছর আগে ১৯৯৩ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়াকে ১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা।
শেষ দিনে ব্যাট করতে নামে আগের দিন ২৩ রানে থাকা বেন ডাকেন ও ১ রানে থাকা অলিয়ে রবিনসন। তবে দিনের শুরুতেই রবিনসনকে ফেরান সাউদি। ডাকেনও ফেরেন দ্রুতই। তখনই মিলছিল জয়ের আভাস। তবে প্রতিরোধ গড়ে জো রুট। স্টোকসকে নিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলে।
স্টোকস ৩৩ রানে ফেরার পরপরই ফিরে যান সেঞ্চুরির পথে থাকা রুট। ৯৫ রানে ফেরেন তিনি। এরপর লড়াইটা চালিয়ে যান বেন ফোকস। তবে সঙ্গ পাননি কারও। অবশেষে তিনিও ফিরেন ৩৫ রানে। এরপর খুব বেশি পথ বাকিও ছিল না।
শেষ উইকেটে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ১১ নম্বরে নামা জেমস অ্যান্ডারসন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণ আরও সহজ করেন। ২ রান দূরে থাকতে কিউই পেসার নেইল ওয়েগনারের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের ওয়াগনার শেষ ইনিংসে ৪ উইকেট নেন। ৩ উইকেট দখল করেন টিম সাউদি। ২ উইকেট নেন ম্যাট হেনরি। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন কেন উইলিয়ামসন। ২ টেস্টে সাকুল্যে ৩২৯ রান ও ১ট উইকেট সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন হ্যারি ব্রুক।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বিধ্বস্ত হয় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে ফলো অনে। শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের ২৫৮ রানের টার্গেট দেয় কিউইরা। এতে টেস্ট ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায় নিউজিল্যান্ড।
ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিন ৩ উইকেটে ৩১৫ রান তোলে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনে ৮ উইকেটে ৪৩৫ রান সংগ্রহ করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ইংলিশরা। দিনের বাকি সময়ে ১৩৮ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিনে দলীয় সংগ্রহে ৭১ রান যোগ করে অলআউট হয় কিউইরা। এতে ২২৬ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৯ রানে অলআউট হওয়া ব্ল্যাক ক্যাপরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮৩ রান তোলে।
টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় ১০ম নিউজিল্যান্ড। যৌথভাবে শীর্ষে ভারত ও পাকিস্তান।