:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দুই সদস্য ইলান ডি বাসো এবং কার্স্টেন লক।
এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন তারা।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর সহিংসভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে। আমরা মনে করি, যখন কোথাও প্রধান বিরোধী দলগুলোকে হয়রানি করা হয়, তাদের কর্মীদের নির্যাতন করা হয়, গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়, তখন সেখানে অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
চিঠিতে তারা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসাবে আখ্যায়িত করে বোরেলের প্রতি এ নিয়ে উদ্বেগ জানানোর আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বলেছে, তারা বাংলাদেশে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের গণগ্রেফতার এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অত্যধিক বলপ্রয়োগের কারণে উদ্বিগ্ন।
জোসেপ বোরেলকে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা আরও বলেন, আমরা ৫ নভেম্বর এক্সে (টুইট) বাংলাদেশে গণগ্রেফতার সংক্রান্ত আপনার পোস্টটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছি। সেখানে আপনি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে আমরা ভয় পাচ্ছি যে, বাংলাদেশ সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজছে না।
ইইউ পার্লামেন্টের ওই দুই সদস্য চিঠির শেষে জোসেপ বোরেল ও তার অফিসকে ১৪ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টারি রেজুলেশনে বর্ণিত সুপারিশগুলো জরুরিভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বোরেলকে বলেন, আপনি যদি এই বিষয়ে আপনার অফিস কী কী করছে তার রূপরেখা দিতে পারেন, তাহলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে, আমরা আপনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের আহ্বান জানাচ্ছি।
ওই পার্লামেন্ট সদস্যরা তাদের চিঠিতে ইইউ ‘এভ্রিথিং বাট আর্মস’ (ইবিএ) পর্যবেক্ষণ মিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্টও তুলে ধরেন যাতে বলা হয়, শ্রম এবং মানবাধিকার উভয় ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। মানবাধিকার বিষয়ে মূল ইবিএ কনভেনশনসমূহ মেনে চলার জন্য আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তারা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, জানুয়ারির প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের ফলাফলের জন্য ইইউ’র নিষ্ক্রিয়ভাবে অপেক্ষা করা উচিত নয়, বরঞ্চ পূর্বেই স্পষ্টভাবে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে হবে। বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ফিরিয়ে আনতে জন্য ইইউকে সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে।