:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
দশ বছর আগে দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরবসহ বিএনপির আটজন নেতাকর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম রোববার এই রায় দেন।
প্রত্যেককে দণ্ডবিধির ১৪৭ ধারায় এক বছর ও ৪৩৫ ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের আরও দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। আলালের আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন জসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বিএনপির হারুন অর রশিদ, ওবায়দুল হক, শহীদুল ইসলাম হীরা ও ইব্রাহীম।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে। এই মামলা তদন্ত করে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের রায়ে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আটজনকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাইফুল আলম নীরবকে আদালতে হাজির করা হয়। পলাতক বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল অবরোধ চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার সাত মসজিদ রোডে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা কর্মীরা বেআইনি সমাবেশ করেন ও একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ফরাজী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। মামলার বিচার চলাকালে ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
বৃহস্পতিবার গুলশান থানার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের ২১ মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
এর আগে দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানসহ দলটির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার সাজা হয়েছে।