:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১৯ জন প্রার্থী। বাকি ৪২ জেলায় চেয়ারম্যান পদে দুই বা তার অধিক প্রার্থী আছেন।
একক প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করায় অন্তত ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এছাড়া জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাসদ, ইসলামী আন্দোলনের কয়েকজন প্রার্থীও রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ১৬২ জন।
এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ১৯৮৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭১৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট হবে।
১২টি জেলা পরিষদে মাত্র দুজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে কারও মনোনয়ন বাতিল হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানের সংখ্যা আরও বাড়বে।
যে ১৯টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
গোপালগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, বরগুনা, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট।
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদ (রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) বাদে বাকি ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর। জেলা পরিষদে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেন না। উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এখানে ভোটার।
তফশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল বৃহস্পতিবার, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুন্সি মো. আতিয়ার রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় তিনি একমাত্র প্রার্থী। ফলে মনোনয়নপত্র বৈধ হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনিই হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ৬টি সদস্য পদে ১৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এসব পদে আওয়ামী লীগের ছয় প্রার্থী শমিসুল ইকরাম পিরু, নলছিটি উপজেলায় সোহরাব হোসেন মাস্টার, রাজাপুরে অ্যাডভোকেট খাইরুল আলম সরফরাজ, কাঁঠালিয়ায় এসএম ফয়জুল আলম সিদ্দিকী ফিরোজ, সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসাবে হোসনে আরা মান্নান (ঝালকাঠি-নলছিটি) ও নারী সদস্য হিসাবে জাহানারা হক (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সদস্য পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ছাড়াও ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় টাঙ্গাইলে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে আর কোনো মনোনয়ন পত্র জমা না হওয়ায় তিনি নির্বাচিত হওয়ার পথে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে দলীয় প্রার্থী ফারুককে সমর্থন জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর খান মেনু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অপর প্রার্থী নিহত আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ছেলে আহমেদ সুমন মজিদও তাকে সমর্থন দেন। এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে টাঙ্গাইলের ১২টি সাধারণ আসনে ৪৯ জন এবং চারটি সংরক্ষিত নারী আসনে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশী। বৃহস্পতিবার শেষ দিন একক প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে মুহা. সাদেক কুরাইশী মনোনয়ন জমা দেন। আর সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্য পদে ১১ এবং সাধারণ আসনে ২৮ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। জেলা নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া মুহা. সাদেক কুরাইশী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
নওগাঁ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম ফজলে রাব্বি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। শেষ দিন বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। এদিকে ১১টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪৯ জন। সদস্য পদে চারটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৬ জন। নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রুহল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হতে চলেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল। চন্দন শীল ছাড়া অন্য কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ। সদস্য ও মহিলা (সংরক্ষিত) সদস্য পদে মোট ২৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
ফেনী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান ও ৮ সদস্য। বৃহস্পতিবার শেষ দিন চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমান প্রশাসক খায়রুল বাশার মজুমদার তপন একাই মনোনয়নপত্র জমা দেন। একইভাবে নির্বাচনে সদস্য পদে জেলা আওয়ামী লীগের মনোনীত ৮ প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর। বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের কাছে জাহাঙ্গীর কবিরের একটিমাত্র মনোনয়ন ফরম দাখিল হয়। এছাড়া সংরক্ষিত ২টি আসনের বিপরীতে ৮ জন ও সাধারণ সদস্য ৬ জনের বিপরীতে ২৩ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
বাগেরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু। শেষদিন আর কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। অন্য কোনো দল অংশ না নেওয়ায় সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আওয়ামী লীগ দলীয় একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাগেরহাটে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে ৯টি সাধারণ সদস্য পদে ২৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ফকিরহাট উপজেলা আসনে মাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ভোলা জেলা পরিষদ নির্বাচনে একক প্রার্থী হওয়ায় তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মমিন টুলু। বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। অন্যদিকে সাধারণ সদস্য সাত পদের বিপরীতে ১০টি, নারী সদস্য ৩ পদের বিপরীতে ৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মোট ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুনির চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসাবে আছেন। তার মনোনয়নপত্র বৈধ হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনিই হবেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এছাড়াও জেলায় সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৬ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যারা
দেশের অন্তত ৩২ জেলায় আওয়ামী লীগের এক বা একাধিক বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী রয়েছেন। কোথাও কোথাও তিন-চারজন বা তারও বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তবে এখনও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকায় শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা কমে আসতে পারে। নির্বাচনে বিএনপি জোট প্রার্থী দেয়নি। ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দলগুলোও হাতেগোনা কয়েকটি জেলা ছাড়া অন্যত্র চেয়ারম্যান পদে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। কয়েকটি জেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও স্বতন্ত্র কিংবা অন্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।
রাজবাড়ীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে এম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, বিদ্রোহী প্রার্থী পাংশা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দীপক কুণ্ডু, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ইমামুজ্জামান চৌধুরী রিটো, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল হাসান পিয়াল ও মো. রাশেদুজ্জামান।
শেরপুর আওয়ামী লীগের প্রার্থী চন্দন কুমার পাল, বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদায়ী জেলা পরিষদ প্রশাসক হুমায়ুন কবির রুমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ জাকারিয়া ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঝিনাইদহে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কনক কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মকবুল হোসেন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান খোকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. এম হারুন অর রশিদ।
দিনাজপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
খুলনায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোর্ত্তজা রশিদী দারা।
চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ গাজী ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওচমান গনি পাটওয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এবং সদস্য এম এ ওয়াদুদ প্রার্থী হয়েছেন। মেহেরপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সালাম এবং দলের দুই বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) গোলাম রসুল ও সাবেক এমপি জয়নাল আবেদিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নেত্রকোনায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসমা সুলতানা আশরাফ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা আবু সাঈদ খান জ্যোতি। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এবং বিদ্রোহী হিসেবে যুবলীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু, বর্তমান প্রশাসক শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা মুফতি আব্দুস সালাম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পাবনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত আ স ম আব্দুর রহিম পাকন এবং বিদ্রোহী প্রার্থী কামিল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মাগুরায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী পংকজ কুমার কুণ্ডু, স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীয়াতুল্লাহ রাজন ও জিহাদ মিয়া মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। শেষ দু’জনের পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত।
বগুড়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মকবুল হোসেন এবং বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান আকন্দ মনোনয়নপত্র জমা দেন। নড়াইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত সুবাস চন্দ্র বোস, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু এবং আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান এবং বিদ্রোহী হিসেবে নূরুল ইসলাম রানা প্রার্থী হয়েছেন। কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী সদর উদ্দিন খান ও জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মহীউদ্দীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম বজলুল হক মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কয়েকজন। আওয়ামী লীগের মনোনীত খাজা শামসুল আলমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মোল্ল্যা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আমিন বকুল। জেলা জাসদের সভাপতি আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেনও প্রার্থী হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগের সমর্থক আজিজুল হক, দলের আরেক সমর্থক হামিদুল আলম চৌধুরী ও যুবলীগের সমর্থক আশিক জামান এলিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন রেনু ও বিএনপি সমর্থক মো. সেলিমও প্রার্থী হয়েছেন।
গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সমর্থনে মোতাহার হোসেন মোল্লা এবং বিদ্রোহী হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকছেদ আলম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আল মামুন সরকার, বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল আলম এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু কালাম আজাদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যশোরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাইফুজ্জামান পিকুল ও বিদ্রোহী হিসেবে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন কাজল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মফিজুর রহমান বাবলু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল মিয়া মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সালমা রহমান হ্যাপীর বিপরীতে বিদ্রোহী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ।
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, বিদ্রোহী প্রার্থী আলাবক্স তাহের টিটু এবং মুসফিকুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মীর ইকবাল এবং বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন। রংপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইলিয়াস আহমেদ এবং দলের উপদেষ্টা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত খলিলুর রহমান মোহন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান, আবুল কালাম মৃধা ও মাকসুদুর রহমান। আবুল কালাম মৃধা ও হাফিজুর রহমান আওয়ামী লীগ ঘরানার লোক। সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁরা হচ্ছেন- নুরুল হুদা মুকুট ও খায়রুল কবির রুমেন।
বিদ্রোহী প্রার্থী নেই যেসব জেলায়
জামালপুর, হবিগঞ্জ, পঞ্চগড়, নাটোর, সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, নরসিংদী, বরিশাল ও কুড়িগ্রামে একাধিক প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেই।
মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধাদান
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানীহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দুরুল হোদা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র নেওয়ার জন্য জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে তাঁকে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয় এবং লাঞ্ছিত করে ফাইলপত্র কেড়ে নেয়। তিনি নিজেই এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগ প্রার্থী রুহুল আমিনের কর্মী বলে জানান তিনি।