:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই দেশে মোট ২১ হাজার ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা।
নিহতদের মধ্যে তুরস্কের ১৭ হাজার ৬৭৪ জন ও সিরিয়ার তিন হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বিশেষ করে সিরিয়ায়। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি আফটারশকের শঙ্কাও রয়েছে। ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, মানবিক সংস্থাগুলোর সামনে এখন ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ আসছে।
গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একে শতবছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে উল্লেখ করেছেন।
বিভিন্ন দেশ এরইমধ্যে সহায়তা ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক জরুরি ভিত্তিতে তুরস্কে ১৭৮ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। যা দিয়ে ভূমিকম্প আক্রান্ত এলাকায় সাধারণ কিছু অবকাঠামো গড়ে তোলা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে।
এক লাখের বেশি উদ্ধারকারী কাজ করলেও উদ্ধার সরঞ্জাম ও গাড়ির অভাবে কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এখন বিপর্যয়ের মাত্রা এখন আমাদের চোখের সামনে ফুটে উঠছে।
তুরস্কের চেয়ে সিরিয়ায় উদ্ধারকাজ আরও কঠিন হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ইদলিবের বাব আল-হাওয়া ক্রসিং দিয়ে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সীমান্ত অতিক্রম করে। সিরিয়ার সরকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর মধ্য দিয়ে ভ্রমণ না করে এই অঞ্চলে জাতিসংঘের সাহায্য পৌঁছানোর একমাত্র উপায় ক্রসিং।
গুতেরেস সেখানে আরও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।