:: নাগরিক প্রতিবেদক ::
মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের মুক্তির দাবীতে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
শুক্রবার বিকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান।
সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরোও বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহফুজুল হক, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, কেন্দ্রীয় মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, সহকারী মহাসচিব মুফতি আযহার, অর্থ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন কাশেম, বিশেষ অতিথি মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতি ও সমাপনী বক্তব্যে সাজিদুর রহমান বলেন, আমরা দেখতে চাই, অতি অল্প সময়ের মধ্যে মামুনুল হকসহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরামদের মুক্তি দিতে হবে। না হয়, এই মাসের ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ সারাদেশ থেকে ওলামায়ে কেরাম জমা হয়ে ঢাকাতে মহাসমাবেশ করব। মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সারাদেশে ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতা একমত।
আলেমদের জেল থেকে মুক্তি না দিলে সব আলেমদের জেলে দেওয়ার সরকারের প্রতি আহবানও জানিয়ে হেফাজতের মহাসচিব বলেন, আপনারা যদি আলেমদের জেলে দেন, রাখতে চান। তাহলে আমাদের সব আলেমদের জেলে দেন। আমরা সবাই জেলে যাব, ওলামায়ে কেরাম সবাই জেলে যেতে প্রস্তুত। আর না হয় মাওলানা মামুনুল হকসহ সকল ওমালাদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।
সমাবেশ কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহফুজুল হক বলেন, মামুনুল হকসহ এখনো যারা জেলখানায় বন্দি আছে, আগামী নির্বাচনের আগে তাদের মুক্তি দিতে হবে। ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি যত মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। এদেশের ওলামায়ে কেরামরা চুরি করে না, ডাকাতি করে না, জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয় না। তাদের বিরুদ্ধে কেন এত মামলা? এসব মামলা নির্বাচনের আগে প্রত্যাহার করা না হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই কঠিন কর্মসূচি দেবে হেফাজতে ইসলাম।
মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি, হেফাজত নেতাদের নামে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ফ্রি মিক্সিংসহ ইসলাম বিরোধী পাঠ বাতিল এবং হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি।
দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মহিউদ্দিন বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাওলানা মামুনুল হকসহ সকল আলেমকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় আগামী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই হেফাজতে ইসলাম কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।