:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
মালদ্বীপের রাজধানী মালের একটি গ্যারেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাংলাদেশিসহ কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে, মালে শহরের মাফান্নু এলাকার ইস্কান্দার মাগুতে অবস্থিত সেনরোজ নামের একটি বাসার নিচে গ্যারেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত। ভবনটিতে অভিবাসী নারী শ্রমিকরা থাকতেন।
মাওয়েও মসজিদের কাছে অবস্থিত এম নিরুফেহির গ্যারেজে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গ্যারেজটি নিচতলায় অবস্থিত। গ্যারেজের ওপর তলায় অভিবাসী শ্রমিকের কোয়ার্টার। সেখানে একটি মাত্র জানালা ছিল।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মালদ্বীপ সানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কোয়ার্টারটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার কর্মীরা থাকতেন।
মালদ্বীপের একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯ জন ভারতীয় এবং একজন বাংলাদেশি নাগরিক। অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে মালদ্বীপ পুলিশ। এ ঘটনার পর মালদ্বীপের রাজনৈতিক দলগুলো বিদেশি কর্মীদের বসবাসের অবস্থা সম্পর্কে সরকারের সমালোচনা করেছে।
মালদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ) ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন। প্রায় চার ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো গেছে।
মাত্র দুই মাস আগেই এই গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তার আগে আরও একবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে মালদ্বীপের বাংলাদেশের হাইকমিশনে প্রথম সচিব মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ ও কল্যাণ সহকারী মামুন পাঠান ঘটনাস্থল এবং মালদ্বীপের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
মালদ্বীপের রাজনৈতিক দলগুলো বিদেশি কর্মীদের দুর্দশার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছে।
মালেতে প্রায় সোয়া লাখ প্রবাসী শ্রমিক থাকে। প্রবাসীরাই শহরটির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা থেকে এসেছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় প্রবাসীদের দরিদ্র জীবনযাপনের অবস্থা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেসময় স্থানীয়দের তুলনায় বিদেশী কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ তিনগুণ দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়েছিল।