বেনামী চিঠি
– মুহাম্মদ শামীম
তোমাকে ভুলেছি সেই যে কবে
মনে পড়ছেনা না আর,
বাহিরে তখনো রোদ্দুর ছিলো
ভিতরে হাহাকার।
মনে পড়ে না তোমার স্মৃতি
মনে পড়ো না তুমি,
মনে পড়ে না মাহেন্দ্রক্ষণ
শুভ জন্মাষ্টমী!
সেই যে ভুলেছি তোমাকে আমি
পিছু ফিরে ডাকবোনা,
সত্যি বলছি, সত্যি ভুলেছি
ভুলেও মনে রাখবোনা।
ক্লান্ত সময়, পলাশী বিকেল
কাকভেজা হয়ে ফেরা;
হাওয়াই মিঠাই কেটেছে সময়
সাক্ষী সন্ধ্যা তারা।
আমাদের যুগে আমরাই ছিলাম
অন্যরা কেবলই সাক্ষী,
ফানুস উড়িয়ে, দোতারা বাজিয়ে প্রতিবাদ করেছি
আমরা শান্তিরক্ষী ।
সেই তোমাকেই ভুলে গাছি আমি
লিখছি বেনামী চিঠি,
ভুলে যেও সব, স্মৃতির কলরব
অবিশ্বাস্য বিস্ময়ভরা ইতি।
“বেশি ভালোবাসলে মানুষ হারিয়ে যায়
তাইতো এখন মানুষ পুষিনা হৃদয়ের আয়নায়”
___________________________
মানুষের জীবন
-মুহাম্মদ শামীম
মানুষের জীবন আমাদের
অথচ মানুষের সাথে কদাচিৎ দেখা হয়,
মানুষ নামে, মানুষ সাজে; কে যে পাশে রয়।
ভোরের আলো, রাতের আঁধার, গভীরতম ঘুম
মানুষ বেশে সব নিয়েছে; কানাকানির ধুম।
শখের বসে, কায়া পোষে, মায়ায় পড়ে যার
সব হারিয়ে পথে বসে; রূপের কি বাহার!
বুকে টেনে, কিসের টানে, কেন ঠেলে দূরে
মানুষ রুপে মায়ায় জড়ায়, মায়ায় জনম পোড়ে..!
___________________________
লুকোচুরি খেলা
-মুহাম্মদ শামীম
কেন যে এই লুকোচুরি খেলা
কেন থাকি কেনইবা না থাকি,
কী অপেক্ষায় কাটে আমার বেলা
হাজার স্বপ্ন বুকে পুষে রাখি।
কেন আমার রাত কাটে না
হয়না কেন ভোর,
কেন বুকের ভেতর ওলোট-পালোট
ঝড় থামেনা তোর।
কেউ না জানুক, কেউ না বুঝুক
অন্ধকারের আলো,
এই আমাকে কেমন করে
করলি অগোছালো!
তবু কেন এত করে চাই তোকে
হাজার প্রশ্ন করতে পারিস তুই
ভরা জোছনায় ভরে ওঠে নদী
সাতার কাটি জলের রোশনাই!