:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তিন ভরি স্বর্ণ লুট ও মারধরের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এস মুর্শেদসহ ৫ পুলিশের নামে একটি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেন।
আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক নাজির, তারেক আজিজ, মো. আতোয়ার হোসেন ও কৃষ্ণ চন্দ্ৰ মিত্র।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর লালবাগ থানার পেনাল কোড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুই মামলায় বিল্লাল হোসেনকে সুকৌশলে মিথ্যা আসামি বানিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বাদীর লালবাগ ইয়াছিন সমবায় সমিতি লিমিটেড অফিসে তাকে গ্রেফতার করতে আসে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পোশাক পরে তার অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে সংরক্ষিত চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা, সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, সিসি ক্যামেরার ডিবিআর ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি ড্রয়ারের তালা ভেঙে লুপপাট করে ছিনিয়ে নিয়ে যান।এ সময় বাদী প্রতিবাদ করলে আসামিরা তার গায়ে হাত তুলে মারধর করে এবং অশ্লীল গালিগালাজ করে তাকে অপমান করেন। এরপর আসামিরা বাদীকে গা ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন- ‘তুই যা পারিস করিস’।
মামলার আরজি থেকে আরো জানা যায়, গ্রেফতারের সাত দিন পর মামলার বাদী আদালত থেকে দুই মামলায় জামিন পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।