:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-১২ ডিগ্রির মধ্য উঠা নামা করছে। আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে।
শীতে খেটে খাওয়া ও দিন মজুরদের বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সকালে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। খেটে খাওয়া ও দিন মজুররা কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন কাক ডাকা ভোরে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরেছে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসে। সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা যায়। কুয়াশা ভেদ করে সকাল আটটার দিকে সূর্য উঁকি দিলেও সারা দিনে সেভাবে রোদের তীব্রতা ছড়ায়নি। শহরের রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচল তুলনামূলক কম ছিল।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। অল্প দিনেই শৈত্য প্রবাহ শুরু হতে পারে। ১০-১২ ডিগ্রির মধ্য সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে চুয়াডাঙ্গায়।
গত সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। মঙ্গলবার ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি বেড়ে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উন্নীত হলেও বুধবার থেকে কমতে থাকে। বুধবার সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বশেষ আজ ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কনকনে ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের শীতজনিত রোগবালাই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ১০০ শয্যার হাসপাতালে বেশ কয়েক দিন ধরে চার শতাধিক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ৪৩২ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে আরও আট শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালে আসা বেশির ভাগ মানুষই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় এখনো সরকারিভাবে শীতার্ত মানুষকে সহযোগিতা করা শুরু হয়নি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলায় শীতার্তদের জন্য মোট ১৭ হাজার ৬৫০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, শীত মৌসুমে জেলার শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য পৌরসভা ও ইউনিয়নভিত্তিক ভাগ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই তা বিতরণ শুরু হবে।