স্বাধীনতাপূর্ব বাংলা চলচ্চিত্রের সাতকাহন

:: ফজলে এলাহী ::

এই লেখায় সংক্ষিপ্ত আকারে স্বাধীনতাপূর্ব বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির চিত্র সম্পূর্ণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । যাকে বলতে পারেন ‘বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসের প্রথম ভাগ বা পূর্ব পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের ইতিহাস’ যার উপর ভিত্তি করেই স্বাধীন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নতুনভাবে এগিয়ে গিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছে।

১৯৫৪ সালে ‘মুখ ও মুখোশ’ ছবির কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে তৎকালীন পূর্ব বাংলা/ পূর্ব পাকিস্তান এর প্রথম চলচ্চিত্রের সুচনা হয় যা ১৯৫৬ সালের ৩রা আগস্ট মুক্তির মধ্য দিয়ে দর্শকরা প্রথম ছবিটি দেখতে পায় । সেই থেকে শুরু হয় এই দেশে চলচ্চিত্র তৈরির সূচনা যা আজ ২০১৭ সালে এসে অনেকটা মলিন ও জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে ।

১৯৫৪ সালে গঠিত হয় ইকবাল ফিল্মস এবং কো-অপারেটিভ ফিল্ম মেকার্স লিমিটেড। ইকবাল ফিল্মস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মোহাম্মদ মোদাব্বের, মহিউদ্দিন, শহীদুল আলম, আবদুল জব্বার খান, কাজী নুরুজ্জামান প্রমুখ। ড. আবদুস সাদেক, দলিল আহমদ, আজিজুল হক, দুদু মিয়া, কবি জসীমউদ্দীন, কাজী খালেক, সারওয়ার হোসেন প্রমুখ ছিলেন কো-অপারেটিভ ফিল্ম মেকার্স লিমিটেডের সঙ্গে। দলিল আহমেদের পুত্র বুলবুল আহমেদ এবং দুধু মিয়ার পুত্র আলমগীর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান।

১৯৫৪ সালে ইকবাল ফিল্মসের ব্যানারে এই ভূখণ্ডের প্রথম চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর কাজ শুরু করেন আবদুল জব্বার খান। কো-অপারেটিভ ফিল্ম মেকার্সের ব্যানারে স্বল্পদৈর্ঘ্য চিত্রের আপ্যায়ন-এর কাজ শুরু করেন সারোয়ার হোসেন। ১৯৫৫ সালে জুন মাসে তেজগাঁওয়ে সরকারি ফিল্ম স্টুডিও চালু হয়।

ঢাকা থেকে মুক্তি পায় দেশীয় বাংলা প্রথম ছায়াছবি “মুখ ও মুখোশ”। সেই দিনটি ছিল ৩রা আগস্ট ১৯৫৬। ছায়াছবির কাহিনীটি ছিল পারিবারিক নাটকের মত, ভাল-খারাপের দ্বন্ধ নিয়ে। ছায়াছবিটির প্রিন্টিং এবং প্রসেসিং হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোরে।জব্বার খান ছিলেন এই ছায়াছবির নায়ক। যিনি একাধারে বাংলা ছায়াছবির কাহিনী লেখক, প্রযোজক ও পরিচালক ছিলেন। এই ছবিতে অন্যান্যদের মধ্যে অভিনয় করেন পূর্ণিমা সেন, নাজমা, জহরত আরা, আলী মনসুর, ফাফিক, নজরুল আনার খান, সাইফুদ্দিন, বিলকিস প্রমুখ। যুগ্মভাবে প্রযোজক ছিলেন নুরুজ্জামান, শহীদুল আলম, কলিমুল্লাহ, এম এ হাসান। জব্বার খান নিজেই পরিচালনা করেন ছায়াছবিটি এবং এর কাহিনী তাঁর নিজেরই লেখা। ছায়াছবিটিতে সংগীত দিয়েছিলেন সমর দাস।চিত্রগ্রহন করেছিলেন ও এম জামান।

প্রথম ঢাকায় নির্মিত ছায়াছবির প্রায় তিন বছর পরে আসে ঢাকা থেকে নির্মিত প্রথম উর্দু ছায়াছবি। ছায়াছবিটির নাম “জাগো হুয়া সাভেরা”। ছায়াছবিটির কাহিনী ছিল পূর্ববাংলার জেলেদের জীবন নিয়ে। দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করে তাদের বেঁচে থাকা। মহাজনদের সুদের কাছে ধরাশায়ী জেলে জীবন।ছায়াছবিটির অভিনয় শিল্পীর মধ্যে ছিলেন খান আতাউর রহমান (আনিস)। যিনি পরবর্তিতে ঢাকাই চলচ্চিত্রের একজন সফল প্রযোজক, পরিচালক এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে আবীর্ভূত হোন। অন্যান্য অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন তৃপ্তি মিত্র, জুরাইন, রক্সি, রেদওয়ান, কাজী খালেক, নাসিমা, ময়না, মীনা লতিফ প্রমুখ। প্রযোজক ছিলেন নোমান তসীর, আর পরিচালক আছেজয় কারদার। স্ক্রিনপ্লে এবং সংগীতে ছিলেন ফয়জ আহমদ ফয়জ। যিনি উর্দু সাহিত্যের কিংবদন্তী এক কবি হিসেবে পরিচিত। এই ছায়াছবির মাধ্যমেই তাঁর চিত্রনাট্যকার এবং গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। ছায়াছবির মূল কাহিনী মানিক বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস থেকে নেওয়া। যদিও উপন্যাসের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়নি তথ্যসূত্রে। তবে চোখ বন্ধ করেই বলা যায়- “পদ্মা নদীর মাঝি” হবে। ফটোগ্রাফিতে ছিলেন জার্মানির ওয়াল্টার লাসালী। সম্পাদনায় ইউকের মিস বিনভেট, আর রেকর্ডে ইউকের জন ফ্লেতেহের। সঙ্গীতে ছিলেন তমর বরণ (ভারত), তাঁর সাথে সহকারী হিসেবে ছিলেন শান্তিকুমার চ্যাটার্জী (ভারত)। সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে শুধু আলতাম মাহমুদের নাম পাওয়া গেছে। ছায়াছবিটি ২৫ শে মে ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায়।ব্যবসায়িকভাবে এই ছবি ততকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে সফল হয়নি। করাচীর জুবিলী সিনেমাহলে শুধুমাত্র মুক্তি পেয়েছিল; তিন দিনে নয়টি শো এর মধ্য দিয়েই ছবিটি বন্ধ হয়। তবে ছায়াছবিটি আন্তর্জাতিক পুরুস্কার পেয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম- মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভলে ছায়াছবিটির স্বর্ণপদক পাওয়া। ২০০৭ সালে ছায়াছবিটি ফ্রান্সে আয়োজিত উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র মেলায় প্রদর্শিত হয়েছিল।তবে ছায়াছবিটি পাওয়া যায় এক ব্রিটিশের কাছ থেকে। আয়োজনের কর্মকর্তা জনাব জিল্ডো ফিলিপ ছায়াছবিটি উদ্ধার করেন ।

জহির রায়হানের হাতেই পাকিস্তানের প্রথম সম্পূর্ণ রঙ্গিন ছায়াছবি নির্মিত হয়েছিল, এবং পাকিস্তান হিসেবে ১৯৭১ সালের শেষ ছায়াছবিটিও ছিল শহীদ জহির রায়হানের। ঢাকাই চলচ্চিত্রের উর্দু ছায়াছবির অনেক তথ্য পেলেও বাংলা ছায়াছবির ব্যাপারে নাম ছাড়া কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আমি বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুঁজি করে কয়েকটি বাংলা ছায়াছবির ব্যাপারে কিছু তথ্য পেয়েছি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আগেকার ছায়াছবির উপর তথ্য থাকলে থাকতে পারে। যেহেতু বর্তমানে আমার পক্ষে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না, আমি প্রাপ্ত তথ্য থেকে ছবির তালিকা ও উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম ।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জন্য চিরস্মরণীয় এক বছর। ঢাকা থেকে মুক্তি পায় দেশীয় বাংলা প্রথম ছায়াছবি “মুখ ও মুখোশ”। সেই দিনটি ছিল ৩রা আগস্ট ১৯৫৬।ছায়াছবির কাহিনীটি ছিল পারিবারিক নাটকের মত, ভাল-খারাপের দ্বন্ধ নিয়ে। ছায়াছবিটির প্রিন্টিং এবং প্রসেসিং হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোরে।জব্বার খান ছিলেন এই ছায়াছবির নায়ক। যিনি একাধারে বাংলা ছায়াছবির কাহিনী লেখক, প্রযোজক ও পরিচালক ছিলেন। এই ছবিতে অন্যান্যদের মধ্যে অভিনয় করেন পূর্ণিমা সেন, নাজমা, জহরত আরা, আলী মনসুর, ফাফিক, নজরুল আনার খান, সাইফুদ্দিন, বিলকিস প্রমুখ। যুগ্মভাবে প্রযোজক ছিলেন নুরুজ্জামান, শহীদুল আলম, কলিমুল্লাহ, এম এ হাসান। জব্বার খান নিজেই পরিচালনা করেন ছায়াছবিটি এবং এর কাহিনী তাঁর নিজেরই লেখা। ছায়াছবিটিতে সংগীত দিয়েছিলেন সমর দাস।চিত্রগ্রহন করেছিলেন ও এম জামান। নায়িকা চরিত্রে ছিলেন চট্টগ্রামের পূর্ণিমা সেন। অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন ইনাম আহমেদ, নাজমা (পিয়ারী), জহরত আরা, আলী মনসুর, রফিক, নুরুল আনাম খান, সাইফুদ্দীন, বিলকিস বারী প্রমুখ। চিত্রগ্রাহক কিউ.এম জামান, সুরকার সমর দাস, কণ্ঠশিল্পী আবদুল আলীম ও মাহবুবা হাসানাত এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আবদুল জব্বার খান রচিত নাটক ‘ডাকাত’-এর চিত্রায়নই মুখ ও মুখোশ (১৯৫৬)। এই চলচ্চিত্রে পেশাদারিত্বের ছাপ থাকার কথা নয়। কিন্তু প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে এর গুরুত্ব রয়েছে। গ্রামের এক জোতদার বাবার এক সন্তান ঘটনা-পরম্পায় ডাকাতদলের খপ্পরে পড়ে তাদের মতো বেড়ে ওঠে। আরেক ছেলে পড়ালেখা করে পুলিশ হয়। কিন্তু ডাকাতদলের সঙ্গে পুলিশের সখ্য ছিল। ভাই-ভাই পরিচয় না জানলেও ডাকাত-পুলিশ সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে ডাকাত ছেলে তার সর্দারকে খুন করে। গ্রেফতার হয় অসৎ পুলিশ। কাহিনীর পরিণতি বাবার কাছে দুই ছেলেকে ফিরে পাওয়ার মধ্য দিয়ে। কাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। নাটকীয় উপাদান আছে। গ্রামীণ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আছে। আবদুল আলীমের কণ্ঠ আছে। গওহর জামিলের নৃত্য আছে। নায়িকার ভূমিকায় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মেয়ে আছে। ডাকাত-পুলিশের গল্প থাকায় একধরনের সাসপেন্স আছে। নির্মাণকলার সীমাবদ্ধতা থাকলেও এই চলচ্চিত্রকে অসফল বলার সুযোগ নেই।

১৯৫৭ সালের ৩রা এপ্রিল তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু, পরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি) উত্থাপিত বিলের মাধ্যমে পূর্বপাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (ইপিএফডিসি) প্রতিষ্ঠিত হলে এর সহযোগিতায় ১৯৫৯ সালে থেকে প্রতিবছর চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে থাকে। ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ সালে এদেশে কোনও চলচ্চিত্র মুক্তি পায় নি। এফডিসি ছাড়াও পপুলার স্টুডিও, বারী স্টুডিও এবং বেঙ্গল স্টুডিও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিস্ফুটনে বিরাট ভূমিকা পালন করে।

এফডিসি প্রতিষ্ঠার পরে চলচ্চিত্র নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় অনেক যোগ্য ব্যক্তি এগিয়ে আসেন। ১৯৫৯ সালে ফতেহ লোহানীর আকাশ আর মাটি, মহিউদ্দিনের মাটির পাহাড়, এহতেশামের ‘এদেশ তোমার আমার’ এই তিনটি বাংলা চলচ্চিত্র ছাড়াও এ.জে. কারদারের জাগো হুয়া সাভেরা উর্দু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের শুরুর দশকে নির্মিত ৫টি চলচ্চিত্রের প্রতিটিই নানান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শিল্পমানে উত্তীর্ণ বলেই চলচ্চিত্রবোদ্ধারা মনে করেন। অর্থাৎ আমাদের চলচ্চিত্রের অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল শুদ্ধতার অঙ্গীকার নিয়েই। উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত। বেবী ইসলামের তানহাও উর্দু ভাষার নির্মিত। এটি ১৯৬০ সালে সেন্সর সার্টিফিকেট পায় কিন্তু মুক্তি পায় কিন্তু মুক্তি পায় পায় ১৯৬৪ সালে।

সাল ১৯৫৯

বাংলা ছায়াছবি

এই বছর ঢাকা থেকে মুক্তি পায় তিনটি বাংলা ছায়াছবি।

১। আকাশ আর মাটি

২। এ দেশ তোমার আমার

৩। মাটির পাহাড়

‘এদেশ তোমার আমার’- ছবির পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। অভিনয় করেছেন সুমিতা দেবী, খান আতাউর রহমান, রেহমান, সুভাষ দত্ত, মেসবাহ প্রমুখ।সুমিতা দেবীর বিপরীতে ছিলেন আনিস। মাহবুবা রহমানের গাওয়া ‘মনে তে লাগলো রঙ আহা তা কেউ জানলো না’ গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়।

‘আকাশ আর মাটি’ ছায়াছবিটি মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালের ২৪ শে জুলাই। এই ছায়াছবিতে সুমিতা দেবীর বিপরীতে ছিলেন আমিন এবং প্রবীন কুমার।

 ‘মাটির পাহাড়’ ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন মহিউদ্দীন।নায়ক ছিলেন ইকবাল, উনার বিপরীতে ছিলেন সুলতানা জামান ও রওশন আরা। ছায়াছবিটির কাজ ১৯৫৬ সালেই শুরু হয়েছিল। ছবির ৬০ ভাগ কাজই সম্পন্ন হয়েছিল কক্সবাজারে। বাকি কাজ ঢাকায় হয়। ইকবাল ছিলেন কিংবদন্তি সাত ছায়াছবির নায়ক। এই ছায়াছবি ছিল রওশন আরার প্রথম ছায়াছবি। তিনি ১৯৫৬ সালে আইএসসি পাস করার পর ঢাকার মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ঢাকায় আসার পর পরিচালক মহিউদ্দিনের সঙ্গে তার দেখা হয়। যাঁর হাত ধরেই ১৯৫৭ সালে রওশন আরা “মাটির পাহাড়” ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করার সুযোগ পান। এভাবেই রওশন আরা একদিন ফিল্মের নায়িকা হয়ে গেলেন। ‘মাটির পাহাড়’ ছবিতে তার সঙ্গে ছিলেন রাজিয়া (সুলতানা জামান), ইকবাল, করিম, খালেক, নুরুল প্রমুখ। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালের ২৮ আগস্ট।

উর্দু ছায়াছবি

১। জাগো হুয়া সাবেরা

সাল ১৯৬০

বাংলা ছায়াছবি

১। রাজধানীর বুকে

২। আসিয়া

আসিয়া

ফাতেহ লোহানী পরিচালিত ,শহীদ- সুমিতা দেবী জুটির অভিনীত ‘আসিয়া’ মুক্তি পায় ১৯৬০ সালে । এই ছায়াছবিটি সে বছর প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ডে ভূষিত হয়। ছায়াছবিটির সংগীত পরিচালক ছিলেন আব্বাস উদ্দীন আহমেদ। ‘আছিয়া’ ছবিতে সুমিতা দেবী নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন।ছায়াছবিতে ফেরদৌসী বেগমের গাওয়া—‘মেঘে দেওয়ায় করছে মেঘলী তোলাইল পূবাল বাও’ গানটিতে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন সুমিতা দেবী। ছায়াছবির কাহিনী অনুসারে তাঁর প্রেমিক শহীদ। কিন্তু শহীদের চাচা কাজী খালেকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। প্রেমিকা হয়ে গেল চাচী। বিয়োগান্তক পরিণতিতে দুজনের সহমরণ হয়েছিল। আসিয়া বাবসায়িক সাফল্য না-পেলেও এটি প্রেসিডেন্ট পুরস্কার ও নিগার পুরস্কার লাভ করে। গ্রামবাংলার চিরায়ত দৃশ্য নিয়ে জীবনধর্মী এই চলচ্চিত্রটি বোদ্ধা মহলে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। কেউ কেউ একে পথের পাঁচালীর অনুকরণ বলে অভিহিত করে। ফতেহ লোহানী (১৯২০-১৯৭৫) বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে অগ্রণী অভিনেতা ও চিত্রপরিচালক।

‘রাজধানীর বুকে’: ক্যাপ্টেন এহতেশাম পরিচালিত খুব জনপ্রিয় একটি ছবির নাম ‘রাজধানীর বুকে’ । ছায়াছবিটিতে অভিনয় করেন সুভাষ দত্ত। তাছাড়া এই ছায়াছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন গোলাম মোস্তফা। এটাই ছিল তাঁর অভিনীত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি।

সাল ১৯৬১

বাংলা ছায়াছবি

১। হারানো দিন

২। যে নদী মরু পথে

৩। কখনও আসেনি

৪। তোমার আমার

এ বছর ঢাকা থেকে মোট চারটি ছায়াছবি মুক্তি পায়। ‘হারানো দিন’, ‘যে নদী মরু পথে’, ‘কখনো আসেনি’, এবং ‘তোমার আমার’।

হারানো দিন

১৯৬১ সালে ঢাকা থেকে নির্মিত বাংলা ছায়াছবি ‘হারানো দিন’ । ছায়াছবিটির পরিচালক ছিলেন মুস্তাফিজ। অভিনয় করেন শবনম এবং রহমান। এটা ছিল প্রধান নায়িকার ভূমিকায় শবনমের প্রথম ছবি। আর ঢাকার রোজ গার্ডেনে চিত্রধারণ হওয়া এটাই ছিল প্রথম ছবি। সংগীত পরিচালক ছিলেন রবীন ঘোষ।

যে নদী মরু পথে

পরিচালক সালাউদ্দীন এর ছবি ‘ যে নদী মরুপথে’ । খান আতাউর রহমান অভিনেতা ও সংগীত পরিচালক হিসেবে এই ছায়াছবিতে কাজ করেছেন। নায়িকা হিসেবে নাসিমা খানের অভিনীত প্রথম ছায়াছবি এটি, তাঁর বিপরীতে ছিলেন আনিস। এটি রওশন আরা অভিনীত দ্বিতীয় ছায়াছবি।

জহির রায়হানের পরিচালনায় একই বছরে মুক্তি পেয়েছিল ‘কখনও আসেনি’। এটাই তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। নায়িকা হলেন সুমিতা দেবী। তাঁর বিপরীতে ছিলেন আনিস। ১৯৫৯ সালের শেষের দিকে এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে সুমিতা দেবীর সাথে জহির রায়হানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং দুজনে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হোন।

‘তোমার আমার’- পাকিস্তান ফিল্ম ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে এই ছায়াছবিটিও মুক্তি পায় ১৯৬১ সালে। ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন মহিউদ্দীন।এটাই আনোয়ার হোসেনের অভিনীত প্রথম ছায়াছবি। তিনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন।মোঃ আনিস নামে তখনকার এক ফিল্মের সহকারী পরিচালক তাকে প্রথম ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

সাল ১৯৬২

৩রা আগস্ট ১৯৬২, দুই ভাই এহতেশাম এবং মুস্তাফিজের ছায়াছবি “চান্দা” ঢাকা, করাচী ও লাহোরে মুক্তি পায়। করাচীর নিশাত সিনেমা হলে ছায়াছবিটি সুপার হিট গোল্ডেন জুবিলী সফলতা পায়। অভিনয় শিল্পী হিসেবে ছিলেন সুলতানা জামান, রহমান, শবনম, সুভাষ দত্ত প্রমুখ। পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। যিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রের একজন সফল প্রযোজক এবং পরিচালক। তাঁর অন্যান্য ছায়াছবিগুলো ছিল তালাশ, মালা, দাগ, আনাড়ি এবং ঢাকা থেকে নির্মিত সর্বকালের সেরা মেগা হিট ছায়াছবি “চকোরি” (১৯৬৭)। ছায়াছবিটির প্রযোজক ছিলেন মুস্তাফিজ। সুর ও সংলাপে ছিলেন উর্দুভাষী কবি ও গল্পকার সরুর বরাবনক্বি। ঢাকার অনেক উর্দু ছায়াছবির গান তিনি লেখেছিলেন। সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন রবীন ঘোষ।সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন ফেরদৌসী রহমান, ফরিদা ইয়াসমিন এবং আনজুমান আরা প্রমুখ।

বাংলা ছায়াছবি

১। জোয়ার এলো

২। নতুন সুর

৩। সোনার কাজল

৪। সূর্যস্নান

‘জোয়ার এলো’- ছায়াছবিটির নির্মাতা ছিলেন আব্দুল জব্বার খান। এই ছায়াছবিতে সুচন্দার নায়িকা চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তিতে তা হয়নি। নায়ক-নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন আমিনুল হক আর সুলতানা জামান।

‘নতুন সুর’- ছায়াছবিটির পরিচালক কে ছিলেন তা জানা যায়নি। সুভাষ দত্ত এই ছায়াছবিতে অভিনয় করেছিলেন। নায়িকা হিসেবে রওশন আরা অভিনয় করেছিলেন ছায়াছবিটিতে, তাঁর বিপরীতে নায়ক ছিলেন রহমান।ফেরদৌসী রহমানে সহশিল্পী হিসেবে শিশু শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এই ছায়াছবিতে প্লেব্যাক করেন।

‘সোনার কাজল’-এই ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান ও কলিম শরাফী। প্রযোজক ছিলেন মাসুদ চৌধুরী। নায়ক ছিলেন খলিল, নায়িকা সুমিতা দেবী, সহ-অভিনেত্রী ছিলেন সুলতানা জামান।অভিনেতা খলিলকে আমরা বাংলা ছায়াছবিতে খল-নায়ক হিসেবেই চিনি। কিন্তু তিনি ছিলেন সে যুগে রোমান্টিক নায়ক। চাকরী থেকে সাস্পেন্ড হয়ে ১৯৫৯ সালে এই ছায়াছবিতে কাজ শুরু করেন তিনি। এটাই তাঁর প্রথম ছায়াছবি, আর তাও নায়ক হিসেবে। জহির রায়হান অভিনেতা আমিনকে নায়ক হিসেবে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রযোজকের কারণেই তাঁর আগমন। বিপরীতে দুই নায়িকা সুমিতা দেবী ও সুলতানা জামান। খান আতাউর রহমান ও এই ছায়াছবিতে কাজ করেছেন অভিনেতা ও সংগীত শিল্পী হিসেবে।

‘সূর্যস্নান’- এই ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন সালাউদ্দীন। সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে ছিলেন খান আতাউর রহমান। ‘পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে’ এর মত জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছিলেন। গানটিতে কন্ঠ দেন কলিম শরাফী। ছায়াছবির নায়ক ছিলেন আনোয়ার হোসেন, এবং নায়িকা নাসিমা খান। এটি ছিল আনোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় ছায়াছবি। রওশন আরাও এই ছায়াছবিতে অভিনয় করেন, তাঁর বিপরীতে ছিলেন মফিজ।

উর্দু ছায়াছবি

১। চন্দা

সাল ১৯৬৩

বাংলা ছায়াছবি

১। ধারাপাত

২। কাঁচের দেওয়াল

ধারাপাত’- ছায়াছবির পরিচালক ছিলেন সালাউদ্দীন। অভিনেত্রী নাসিমা খান অভিনয় করেন এই ছায়াছবিতে, তাছাড়া সহ-শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন রূপবান কন্যা সুজাতা।

‘কাঁচের দেওয়াল’- সে আমলের উল্লেখযোগ্য একটি ছায়াছবি কাঁচের দেওয়াল। পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান। এই ছায়াছবিতে অভিনয় করেন আনোয়ার হোসেন, সুমিতা দেবী, খান আতাউর রহমান প্রমুখ। এই ছায়াছবির সংগীত পরিচালনা করেন খান আতাউর রহমান, এই ছবির জন্য তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে পাকিস্তান ফিল্ম ফেস্টিভাল এ ১৯৬৫ সালে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন।

উর্দু ছায়াছবি

১। তালাশ

২। নাচঘর

৩। প্রীত না জানে রীত

সাল ১৯৬৪

উর্দু চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ রঙ্গীন উর্দু ছায়াছবি নির্মিত হয় ঢাকায়। ২৩ শে এপ্রিল, ১৯৬৪ সালে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঢাকা, করাচী ও লাহোরে মুক্তি পায় “সঙ্গম”। করাচীর প্লাজা সিনেমায় ছায়াছবিটি সুপার হিট গোল্ডেন জুবিলী সফলতা পায়। এই ছায়াছবির অভিনয় শিল্পীর মধ্যে ছিলেন হারুণ যিনি ঢাকার চলচ্চিত্রের একজন প্রথম সারির নায়ক ছিলেন কিন্তু তিনি ছিলেন পাঠান অরিজিনের, পরবর্তিতে ঢাকায় স্থায়ী হোন। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন রোজী, সুমিতা দেবী, খালিল প্রমুখ। শহীদ বুদ্ধিজীবি জহির রায়হান ছিলেন এই ছায়াছবির প্রযোজক, পরিচালক এবং গল্পকার। তিনি “জাগো হুয়া সাভেরা” ছায়াছবিতেও সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন। সংগীত পরিচালনা করেন খান আতাউর রহমান। শিল্পী ছিলেন ফেরদৌসী বেগম, বশীর আহমদ,মেহবুব-উর-রহমান, আখতার শাদ, আব্দুল জব্বার।

বাংলা ছায়াছবি

১। দুই দিগন্ত

২। এই তো জীবন

৩। মেঘ ভাঙ্গা রোদ

৪। অনেক দিনের চেনা

৫। রাজা এলো শহরে

৬। সুতরাং

৭। শীত বিকেল

উর্দু ছায়াছবি

১। সঙ্গম

২। তনহা

৩। শাদি

৪। ইয়ে ভি এক কাহানি

৫। পেয়সে

৬। বন্ধন

৭। মিল্লন

৮। কারওয়ান

৯। মালন

সাল ১৯৬৫

বাংলা ছায়াছবি

১। একালের রূপকথা

২। গোধূলির প্রেম

৩। জানাজানি

৪। রূপবান

উর্দু ছায়াছবি

১। কাজল

২। সাগর

৩। বাহানা

৪। ক্যায়সে কহুঁ

৫। আখরি স্টেশন

৬। মালা

৭। সাত রঙ

সাল ১৯৬

বাংলা ছায়াছবি

১। ১৩ নং ফেকু অষ্টগড় লেন

২। আবার বনবাসে রূপবান

৩। আপন দুলাল

৪। বেহুলা

৫। ডাক বাবু

৬। গুনাই

৭। গুনাই বিবি

৮। কাগজের নৌকা

৯। কার বউ

১০। মহুয়া

১১। রহিম বাদশা ও রূপবান

১২। রাজা সন্ন্যাসী

১৩। রূপবান

১৪। সন অব পাকিস্তান

১৫। ভাওয়াল সন্ন্যাসী

১৬। জরিনা সুন্দরী

উর্দু ছায়াছবি

১। ঘর কি লাজ

২। উজালা

৩। ফির মিলেঙ্গে হাম দুনো

৪। এইন্ধন

৫। বেগানা

৬। পূনম কি রাত

৭। ভাইয়া

৮। পরওয়ানা

সাল ১৯৬৭

বাংলা ছায়াছবি

১। আগুন নিয়ে খেলা

২। আলীবাবা

৩। আনোয়ারা

৪। আয়না ও অবশিষ্ট

৫। বালা

৬। চাওয়া পাওয়া

৭। হীরামন

৮। জংলী মেয়ে

৯। জুলেখা

১০। কাঞ্চন মালা

১১। ময়ূরপঙ্খী

১২। নয়নতারা

১৩। অভিশাপ

১৪। অপরাজেয়

১৫। সাইফুল মুল্ক বদিউজ্জামাল

উর্দু ছায়াছবি

১। ইস ধরতি পর

২। নওয়াব সিরাজুদৌলা

৩। চকোরি

৪। দর্শন

৫। ছোটে সাহিব

৬। উলঝন

৭। হামদম

৮। ম্যাঁ ভি ইনসান হুঁ

সাল ১৯৬৮

বাংলা ছায়াছবি

১। আবীর্ভাব

২। অরুণ বরুণ কিরণমালা

৩। এতটুকু আশা

৪। বাল্যবন্ধু

৫। বাঁশরী

৬। ভাগ্যচক্র

৭। চেনা-অচেনা

৮। চম্পাকলি

৯। চুরাবালি

১০। দুই ভাই

১১। কুঁচ বরণ কন্যা

১২। মধুমালা

১৩। মোমের আলো

১৪। নিশি হলো ভোর

১৫। নতুন দিগন্ত

১৬। অপরিচিতা

১৭। পরশমণি

১৮। রাখাল বন্ধু

১৯। রূপ কুমারী

২০। রূপবানের রূপকথা

২১। শীত বসন্ত

২২। শহীদ তিতুমির

২৩। সখিনা

২৪। সংসার

২৫। সপ্তডিঙ্গা

২৬। সুওরানী দুওরানী

২৭। সাত ভাই চম্পা

উর্দু ছায়াছবি

১। সোয়ে নদীয়া জাগে পানি

২। জংলী ফুল

৩। জুগনু

৪। তুম মেরে হো

৫। চান্দ অউর চান্দনী

৬। গোরি

৭। কুলি

৮। যাহাঁ বাজে সেহনাই

সাল ১৯৬৯

বাংলা ছায়াছবি

১। আগন্তুক

২। আলিঙ্গন

৩। আলোমতি

৪। আলোর পিপাসা

৫। বেদের মেয়ে

৬। ভানু মতি

৭। গাজী কালু চম্পাবতী

৮। জোয়ার ভাঁটা

৯। মায়ার সংসার

১০। ময়নামতি

১১। মলুয়া

১২। মনের মত বউ

১৩। মুক্তি

১৪। নাগিনীর প্রেম

১৫। নীল আকাশের নীচে

১৬। নতুন নামে ডাকো

১৭। নতুন ফুলের গন্ধ

১৮। অবাঞ্চিত

১৯। পদ্মা নদীর মাঝি

২০। পালাবদল

২১। পারুলের সংসার

২২। পাতাল পুরীর রাজকন্যা

২৩। প্রতিকার

২৪। শেষ পর্যন্ত

২৫। স্বর্ণকমল

উর্দু ছায়াছবি

১। শহীদ তিতুমির

২। জীনা ভি মুশকিল

৩। দাঘ

৪। পিয়াসা

৫। কঙ্গন

৬। আনাড়ি

৭। মেরে আরমান মেরে সপ্নে

৮। গীত কহিঁ সংগীত কহিঁ

৯। এক জালিম এক হাসিনা

সাল ১৯৭০

বাংলা ছায়াছবি

১। আদর্শ ছাপাখানা

২।একই অঙ্গে এত রূপ

৩। আমীর সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী

৪। অঙ্কা বঙ্কা

৫। আপন পর

৬। বাবলু

৭। বিন্দু থেকে বৃত্ত

৮। বিনিময়

৯। বড় বউ

১০। ছদ্মবেশি

১১। ঢেউ এর পর ঢেউ

১২। দীপ নেভে নাই

১৩। দর্পচূর্ণ

১৪। ঘূর্ণি ঝড়

১৫। যে আগুনে পুড়ি

১৬। জীবন থেকে নেয়া

১৭। যোগ বিয়োগ

১৮। ক খ গ ঘ ঙ

১৯। কাঁচ কাটা হীরে

২০। কোথায় যেন দেখেছি

২১। কত যে মিনতি

২২। মানুষ অমানুষ

২৩। মিশর কুমারী

২৪। মধুমিলন

২৫। মণিমালা

২৬। নায়িকা

২৭। নতুন প্রভাত

২৮। অধিকার

২৯। অন্তরঙ্গ

৩০। পিচ ঢালা পথ

৩১। রাজ মুকুট

৩২। রং বদলায়

৩৩। সাধারণ মেয়ে

৩৪। সম্পাতি

৩৫। সন্তান

৩৬। সূর্য উঠার আগে

৩৭। স্বরলিপি

৩৮। টাকা আনা পাই

৩৯। তানসেন

উর্দু ছায়াছবি

১। ম্যায়না

২। প্যাইল

৩। চলো মান গায়ে

সাল ১৯৭১

বাংলা ছায়াছবি

১। আমার বউ

২। গায়ের বধূ

৩। জলছবি

৪। নাচের পুতুল

৫। স্মৃতিটুকু থাক

৬। সুখ-দুঃখ

উর্দু ছায়াছবি

১। মেহেরবান

২। জলতে সুরজ কে নিচে

 (এটাই পাকিস্তান জমানার শেষ উর্দু ছায়াছবি; পরিচালকঃ জহির রায়হান)

অসমাপ্ত ছায়াছবি

১। ফুটপাথ

২। জনম জনম কি পিয়াসি

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *