:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
পাবনার ঈশ্বরদীতে মাত্র ২৫ হাজার টাকা ঋণ খেলাপির দায়ে জেলে যাওয়া ১২ কৃষকের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। একই সঙ্গে এই মামলায় বাকি ২৫ জনকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
রোববার দুপুরে দিকে পাবনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শামসুজ্জামান এ জামিন আদেশ দেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের আবদুল গণি মণ্ডল (৫০), সামাদ প্রামাণিক (৪৩), আলম প্রামাণিক (৫০), মাহাতাব মণ্ডল (৪৫), শামীম হোসেন (৪৫), নূর বক্স (৪৫), মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৫০), মোহাম্মদ আকরাম (৪৬), মোহাম্মদ রজব আলী (৪০), কিতাব আলী (৫০), মোহাম্মদ মজনু (৪০) ও হান্নান মিয়া (৪৩)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কৃষকদের আইনজীবী সাইদুর রহমান সুমন বলেন, ঋণ গৃহীত সবাই ক্ষুদ্র সবজি চাষি। ঋণ ফেরত দেওয়ার শর্তে তাদের জামিনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৬ ও ১৭ সালে ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া ভূমিহীন কৃষকদের নামে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের পাবনা শাখা থেকে গ্রুপ ঋণ নেওয়া হয়। ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ভাড়ইমারি গ্রামের ৩৭ প্রান্তিক কৃষকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ভোরে ১২ কৃষককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
২০১৬ সালে ৩৭ জন প্রান্তিক কৃষকের একটি গ্রুপে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে। ঋণখেলাপির দায়ে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে তৎকালীন ম্যানেজার সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বাদী হয়ে ৩৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
একাধিক কৃষক ও তাদের পরিবারের দাবি, ঋণ গ্রহণের পর এক বছরের মাথায় অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণ পরিশোধ করেছেন। তার পাশ বই ও জমা স্লিপও রয়েছে। অথচ সেই অর্থ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জমা না করে আত্মসাৎ করেছেন। ফলে তাদের এই হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।