:: নাগরিক প্রতিবেদক ::
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে অক্টোবরের ৩ তারিখ পর্যন্ত তিন দিন বিরতি দিয়ে এসব কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার জিঞ্জিরা, কেরানীগঞ্জ এবং টঙ্গীতে সমাবেশ করবে দলটি। এতে নেতৃত্ব দেবেন মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভৈরব- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেটে রোডমার্চ; ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় বাদ জুমা সারাদেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এদিন রাজধানীর উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীতে সমাবেশও করবে দলটি।
পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-পটুয়াখালি রোড মার্চ; ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে নয়াবাজার ও ঢাকা জেলা আমিন বাজারে সমাবেশ; ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগ রোড মার্চ ও ঢাকায় পেশাজীবী কনভেশন; ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় জনসমাবেশ; ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহিলা সমাবেশ; ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন; ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ রোড মার্চ; ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ; ৩ অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই-চট্টগ্রাম রোড মার্চের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিবেন বলেও জানানো হয়েছে।
কর্মসূচি ঘোষণার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সমমনা দলগুলো যেসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা সম্ভব সেগুলোতে অংশগ্রহণ করবে। আর কখন আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেবে তা রাস্তাই বলে দেবে। মানুষের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। ইতিমধ্যে জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল তাঁকে (খালেদা জিয়া) এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে শিফট করতে হয়। কারণ তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আজ সকালে তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করছেন। তারপরেও তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। চিকিৎসকেরা বারবার বলছেন, তাঁর উন্নত চিকিৎসা দরকার। এ জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, সব ভুলে গিয়ে তাঁর জীবন রক্ষার্থে অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। অন্যথায় যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।