:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করার মতো সক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৩০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং (ইভিএম) ব্যবহার করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ আমরা কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব নিয়েছি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এবং ইউপি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন অনেক দূরে। ফলে এ বিষয়ে (ইভিএম) এখনো কোন আলোচনা হয়নি। আমাদের এখন যে ইভিএম আছে তাতে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৩০ আসনে ভালোভাবে ভোট করতে পারব। এর চেয়ে বেশি আসনে ইভিএমে ভোট করা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, সংলাপে ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই মতামত দিয়েছেন। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি। পাশের দেশ ভারতে সম্পূর্ণ নির্বাচন ইভিএমে হয়। তারা কীভাবে সফল হলো? তারা নিশ্চয় একটা সিস্টেমে মাধ্যমে সফল হয়েছে। সেগুলোই আমরা স্টাডি করছি।
ইসি আলমগীর বলেন, ভারত যা করেছে, আমরা তা এখানে করতে পারি কি না সেটা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আইন অনুযায়ীও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ভারত যেমন অবিশ্বাসের জায়গা থেকে বিশ্বাসের জায়গায় এসেছে, আমরাও সেভাবে চেষ্টা করব। তাহলে সবার কাছে ইভিএম গ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে।
ইসি আলমগীর বলেন, আমাদের ইভিএম ভারতের ইভিএমের চেয়ে অনেক আপডেটেড এবং মানের দিকেও অনেক উন্নত। এটা অবিশ্বাস করার মতো না। ভারত যেভাবে অবিশ্বাসটা কাটিয়ে উঠেছে, আমরাও সেভাবে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের দলীয় সভায় ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইভিএম নিয়ে তারা কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেবে। তবে এখনো আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো ফরমাল বা ইনফরমাল প্রস্তাব আসেনি। তারা প্রস্তাব দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশন নিবে। তবে বলে রাখা ভালো, সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব আসার কোনো সুযোগ নেই। সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।