:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়েছে। এই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ৭০৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
৭ সপ্তাহ পর সোমবার দেশে এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা সাতশ ছাড়ায়, সেদিন শনাক্ত হয় ৭১৮ জন রোগী। মঙ্গলবার তা বেড়ে ৭৩৭ জন হয়। বুধবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে ৬৬৫ জন হয়, বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয় ৬৭৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে; আগের দিন এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ২৫ হাজার ১৯৭ জন হয়েছে; মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৩৬১ জন।
২৪ ঘণ্টায় ৬৮৭ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৮৮ জন।
গত একদিনে যে ৭০৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে তাদের ৫১৬ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। গত একদিনে দেশের সবকটি বিভাগের ৩৭টি জেলায় করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গতদিনে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তার ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। তিনি ছিলেন একজন পুরুষ, বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ।