:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশি দম্পতি ও তাঁদের ছেলে প্রাণ হারিয়েছেন। রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দেশটির রাজধানী ক্যানবেরার পশ্চিমের হুইটলাম এলাকার কপিন্স ক্রসিং রোডে ঘটে এ দুর্ঘটনা।
গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ওই দম্পতির বড় ছেলে চিকিৎসক আনোয়ার জাহিদ।
তাঁদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসমহল বালুচর এলাকায়। নিহতরা হলেন- শহিদুল ইসলাম (৬০), তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৫৫) ও ছেলে রনি (২২)। গুরুতর অবস্থায় ক্যানবেরার একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন ডা. আনোয়ার জাহিদ।
শহিদুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ছেলে রনি গত বছর এইচএসসি পাস করেন।
শহিদুল ইসলামের ছোট ভাই ওমর ফারুক বলেন, বড় ছেলে ডা. আনোয়ার জাহিদের বাসায় বেড়ানোর উদ্দেশ্যে গত ২৬ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়া যান তাঁর ভাই-ভাবি ও তাঁদের মেজো ছেলে রনি। রোববারের দুর্ঘটনায় তাঁরা তিনজনই নিহত হন। গুরুতর আহত বড় ছেলের শারীরিক অবস্থাও তেমন ভালো নয় বলে শুনেছেন তিনি।
মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত বলেন, সরকারিভাবে এখনও কোনো খবর তাঁদের কাছে আসেনি। তবে স্থানীয়দের মাধ্যমে মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। এ বিষয়ে যে কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে পুলিশ পাশে থাকবে।
নিহতরা হলেন, ৬১ বছর বয়সী শহীদুল ইসলাম, তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও তাদের ছেলে রনি। সম্প্রতি, ওমরাহ্ পালন শেষে ট্যুরিস্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে যান তারা।
জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লাল রঙের টয়োটায় ছিলো বাংলাদেশি ওই পরিবার। ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। পরে গাড়ির পেছনের দরজা কেটে তাদের বের করে আনা হয়।
সম্প্রতি হজ পালন শেষে ট্যুরিস্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন তারা। পরিবারের বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী আনোয়ার জাহিদ একজন চিকিৎসক। তার বাবা শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশের একজন অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও মা রাজিয়া সুলতানা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক ছিলেন। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার সংবাদে শোকের ছায়া নেমেছে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে।