:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
স্কট মরিসনকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে প্রায় এক দশকের মধ্যে প্রথম লেবার সরকার নির্বাচিত করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
তবে এটি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয় যে দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতৃত্ব হবে নাকি স্বতন্ত্র এবং ছোট দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট সরকার হবে।
অষ্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ বলছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের ১৫১টি আসনের মধ্যে স্কট মরিসন ৪৭টি এবং অ্যান্থনি আলবানিজ জয় পেয়েছেন ৭২টি আসনে।
এর আগে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তে লেবার পার্টি দুই পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। তাদের জনসমর্থন ছিল ৪৮ শতাংশ আর জোটের সমর্থন ৪৬ শতাংশ। জন হাওয়ার্ডের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিবারেল-ন্যাশনাল জোটের নেতা মরিসন তার পুরো মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন।
মরিসনের সময় অস্ট্রেলিয়া প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের মুখোমুখি হয়। এসব দুর্যোগে মরিসনের ভূমিকাকে প্রথমে সফল বলা হলেও পরে তার কাজকে অপর্যাপ্ত বলে সমালোচনাও করেন নাগরিকরা।
এ বিষয়ে মরিসন অকপট। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি জনপ্রিয় নেতা নন। তার সমালোচনাও রয়েছে ব্যাপক। ফরাসি প্রেসিডেন্টসহ বিশ্ব রাজনীতির অনেক নেতাই তার সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে আলবানিজ ভোটারদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন তিনি ‘আধুনিক অস্ট্রেলিয়া’ গড়ে তুলবেন। নিয়ে আসবেন ‘নিরাপদ পরিবর্তন’।
অস্ট্রেলিয়ার এ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জলবায়ু নীতি। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ফ্রাঙ্ক জোৎজোর মতে, পার্লামেন্টে জলবায়ু নীতির বিষয়ে প্রগতিশীলদের ভোটের ফলাফলে জেতার সম্ভাবনাই বেশি।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন ৭ নিউজ এবং স্কাই নিউজ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, আলবেনিজরা সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে নিশ্চিত বলে মনে হয়েছিল। যদিও দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য পর্যাপ্ত আসন পাবে কিনা তা গণনা অব্যাহত থাকায় বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল।
২০১৯ সালে পার্টির সবচেয়ে সাম্প্রতিক নির্বাচনে পরাজয়ের পর লেবার নেতার দায়িত্ব নেওয়ার আগে আলবেনিজ প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড এবং জুলিয়া গিলার্ডের অধীনে পূর্ববর্তী লেবার পার্টি সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই পরাজয় লেবার পার্টিকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে দেয়। ভোটারদের আরো গভীর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমূল পরিবর্তন নিয়ে তারা এই নির্বাচনী প্রচারে ফিরে আসে।
আলবেনিজ বলেছিলেন, আমি একজন নির্মাতা। যদি আমি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হই, তবে আধুনিক অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিফলিত করব।