:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। দেশের প্রথম ও প্রধান এই স্টক এক্সচেঞ্জ আইপিওতে ৩৫ শতাংশ বা ৬৩ কোটি ১৩ লাখ শেয়ার ছাড়তে চায়।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে তুলে ধরার জন্য বৈঠকে বসতে কমিশনের কাছে সময় চেয়েছে। সম্প্রতি কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে এই সময় চাওয়া হয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা সংক্রান্ত আইনে (ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট) ডিএসই ও সিএসইর তালিকাভুক্তির বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের ধসের পর ২০১৩ সালে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়। সে সময় ডিএসইর পুরো সম্পদের ভিত্তিতে ১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা যা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রায় ১৮০ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ার সৃষ্টি করা হয়।
আলোচিত শেয়ারের মধ্যে ৪০ শতাংশ শেয়ার পেয়েছে ডিএসইর সদস্যরা। বাকী ৬০ শতাংশের মধ্যে ২৫ শতাংশ কৌশলগত বিনিয়োগকারী এবং ৩৫ শতাংশ আইপিওর মাধ্যমে স্থানীয় ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করার কথা ছিল।
কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার ২০১৮ সালে চীনের শেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু বাকী ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রিতে তেমন কোনো অগ্রগতি ছিল না এতদিন।
২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে ৩৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এ লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা চলতি বছরের ১০ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে সময় বেঁধে দেয়া হয়।