:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আনোয়ারুল হক কাকার। সোমবার দেশটির অষ্টম তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেন তিনি।
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ইসলামাবাদের আইওয়ান-ই-সদরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কাকারকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান অসিম মুনির, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল নাদিম রাজা এবং সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
এতে আরও অংশ নেন জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ, সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি, সিন্ধুর গভর্নর কামরান তেসোরি, পাঞ্জাবের গভর্নর বালিঘুর রহমান, খাইবার পাখতুনখোয়ার গভর্নর হাজি গুলাম আলি, পিটিআই সিনেটর শাহজাদ ওয়াসিম এবং পিপিপি নেতা কারিম কুন্ডি।
আনোয়ারুল হক কাকরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে দেশটির বিদায়ী সরকার শেষের দিকে নতুন আদমশুমারির অনুমোদন দেওয়ায় এখন নির্বাচন কমিশনকে নতুন করে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।
আনোয়ারুল হক কাকার ২০১৮ সালে বেলুচিস্তান থেকে ছয় বছরের জন্য সিনেটর নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের মার্চে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। পাশাপাশি তিনি প্রবাসী পাকিস্তানি ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সিনেটের স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন। একই সঙ্গে তিনি ব্যবসায়ী, উপদেষ্টা কমিটি, অর্থ ও রাজস্ব, বৈদেশিক বিষয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক কমিটিরও সদস্য।
২০১৮ সালে গঠিত হয় বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি)। তিনি সিনেটে এই দলের সংসদীয় নেতার দায়িত্বও পালন করেন। পাঁচ বছর ধরে তিনি এ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তারপরও মাত্র পাঁচ মাস আগে দলটি তাঁর স্থলে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেয়।
আনোয়ারুল বরাবরই বেশ সক্রিয় রাজনীতিবিদ। উচ্চ কক্ষে (সিনেট) নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও আনোয়ারুলকে দেশের একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী হিসেবে গণ্য করা হয়। বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির এই আইনপ্রণেতা পশতুন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। তাই তিনি পশতুন ও বেলুচ উভয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
পিএমএল-এন ও পিপিপিসহ মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সিনেটরের সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি ২০০৮ সালে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে কোয়েটা থেকে পিএমএল–কিউ–এর হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। রাজনীতিবিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী আনোয়ারুল বেলুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
আনোয়ারুল ১৯৭১ সালে বেলুচিস্তানের কিল্লা সাইফুল্লাহ জেলার মুসলিমবাগ এলাকায় জন্ম নেন। নিজ শহরে স্কুলে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন।