:: গাজীপুর প্রতিনিধি ::
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত ইসলাম গার্মেন্টসের শ্রমিক মো. জালাল উদ্দিন (৪২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ১টা দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পোশাক শ্রমিক মো. জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
জালাল উদ্দিনের শ্যালক রেজাউল করিম জানান, কোণাবাড়ীর জরুন এলাকায় ইসলাম গার্মেন্টসের সুইং সুপারভাইজার ছিলেন তার দুলাভাই। স্ত্রী নার্গিস পারভীন ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে জরুন এলাকার ফজল মোল্লার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন জালাল। তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বামহাটি গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
রেজাউল জানান, বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে গত ৮ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে জরুন এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালায়। এতে জালাল আহত হন, তার পেটে গুলি লাগে। ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
গত ৮ নভেম্বর গাজীপুরের কোনাবাড়ী জুরুন এলাকায় পুলিশের গুলিতে জামাল উদ্দিন নামে ইসলাম গ্রুপের ওই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। এছাড়া ইসলাম গ্রুপের নারী পোশাকশ্রমিক আঞ্জুয়ারা খাতুন (২৪) পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া ও ঢাকার পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে শ্রমিক বিক্ষোভ চলছিল। সরকার ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দিলেও শ্রমিকরা মজুরি ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।