:: নাগরিক প্রতিবেদক ::
সিলেবাস শেষ না হওয়ায় ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, করোনার আগের সূচি অনুযায়ী চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা জুলাইয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কলেজগুলো সিলেবাস শেষ করতে না পারায় এই পরীক্ষা এখন আগস্টে নেওয়া হবে।
তপন কুমার সরকার বলেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচএসসির সিলেবাস শেষ হয়নি। ফলে এইচএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা জুলাইয়ের পরবর্তে এক মাস পিছিয়ে আগস্টে নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে নতুন দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
চলতি বছর সব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশের (এনসিটিবি) ২০২২ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা প্রায় দেড় বছর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সশরীরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া বন্ধ ছিল। সে কারণে এলোমেলো হয়ে যায় শিক্ষাপঞ্জি, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হতো ফেব্রুয়ারিতে। আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। গত বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয় গত বছরের মার্চ থেকে। তারাই এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসবেন।
এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হলেও প্রশ্নপত্রের ধরন হবে আগের মতোই। করোনার সময় যেমন বেশি প্রশ্নপত্র থেকে কম প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল, এবার সেই সুবিধা নেই। মূলত এসব কারণেই জুলাইয়ে এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এল শিক্ষা বোর্ডগুলো।
সে হিসেবে চলতি বছর ১৫ মাস সরাসরি ক্লাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে কলেজগুলো। এর মধ্যে অনেক কলেজ সিলেবাস শেষ করতে পারেনি। ফলে এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
এদিকে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের টেস্ট (নির্বাচনী) পরীক্ষা আগামী ৩০ মে শুরু হবে।