:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
দীর্ঘ ৬৬ দিন পর দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মারা গেলেন ২৯ হাজার ৪৪৮ জন।
শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ করোনায় মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৬ জনের করোনা শনাক্ত হলো। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৩১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ৮৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের এবং ১ জন সিলেট বিভাগের।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই মাসের ১৮ তারিখ।
দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। সর্বশেষ গত ২২ থেকে ২৮ মে এক সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩৩ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ১৫ থকে ২১ মে পর্যন্ত এর আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, এখন করোনা শনাক্তের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে, তা জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে। কারণ, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সংক্রমণের প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুন ও জুলাই মাসে সংক্রমণ বাড়ে।
গত মাসে করোনাভাইরাসের কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশে করোনার বিধিনিষেধ তুলে না নেওয়া হলেও বাস্তবে এটি উঠে গেছে বলেই মনে করেন মুশতাক হোসেন। তাঁর মতে, এখন পরিস্থিতির বিবেচনায় করোনা নিয়ন্ত্রণে কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। এর মধ্যে বিশেষ করে হাসপাতালে মাস্ক পরা, হাত ধোয়াসহ কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। এর কারণ হিসেবে এই জনস্বাস্থ্যবিদ বলেন, হাসপাতাল থেকেই রোগ বেশি ছড়ায়।