:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে।
শুক্রবার কাবুল শহরের পশ্চিমে দাশত-ই বারছি এলাকায় কাজ নামের একটি শিক্ষাকেন্দ্রে বিস্ফোরণটি হয়।
কাবুল পুলিশ এবং ওই শিক্ষাকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, সেখানকার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনা করছিলেন।
শিক্ষাকেন্দ্রটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের কোচিং করানো হয়। এটি প্রধানত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং মহিলাদের ভর্তি প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ দেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল নাফি তাকোর এর আগে টুইটে বলেছেন, ‘নিহত ও আহতদের ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, হামলার ধরণ এবং হতাহতদের বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
দাশত-ই বারছি এলাকায় বসবাসকারী মানুষের বেশিরভাগ বাসিন্দাই সংখ্যালঘু হাজারা গোষ্ঠীর। অতীতেও বিভিন্ন হামলায় তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
শিয়া হাজারারা দীর্ঘদিন ধরেই তালেবান ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে। আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি।
হামলার নিন্দা জানিয়ে তালেবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল নাফি তাকোর বলেছেন, নিরাপত্তা দলগুলো ঘটনাস্থলে আছে।
তাকোর আরও বলেন, বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার মধ্য দিয়ে শত্রুর অমানবিক নৃশংসতা এবং নৈতিক মানদণ্ডের ঘাটতির কথা প্রমাণ হয়।
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলে আসছে, তারা স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে দেশটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দাশত-ই বারছি এলাকায় আগেও বেশ কিছু হামলা হয়েছে। এসব হামলার কোনো কোনোটির লক্ষ্যবস্তু ছিল স্কুল ও হাসপাতাল। গত বছর তালেবান ক্ষমতা দখল করার আগে দাশত-ই বারছি এলাকায় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনায় ৮৫ জন নিহত হয়। এতে নিহতদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই হামলায় আরও কয়েকশ শিক্ষার্থী আহত হন।