অনেকের জন্য সময়টা এমন যেন মোবাইল ফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারে অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি ক্যান্সারও হতে পারে।
ইউক্রেনের গবেষকদের দাবি, তারহীন যন্ত্র থেকে নির্গত রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা শরীরের মেটাবলিক ভারসাম্য নষ্ট করে- যাতে একাধিক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। এর মধ্যে স্নায়ু বৈকল্যজনিত নানা সমস্যা ও ক্যানসার রয়েছে।
তারহীন যন্ত্র থেকে নির্গত রেডিয়েশনে মেটাবলিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়া সম্পর্কে গবেষকরা জানিয়েছেন, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নামে পরিচিত এই ভারসাম্যহীনতা ঘটে রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন স্পিসিস (আরওএস) ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উৎপাদনে।
গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বায়োলজি অ্যান্ড মেডিসিন সাময়িকীতে। সেখানে বলা হয়, তারহীন যন্ত্র থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয়তা মানুষের কোষের স্বাভাবিক কার্যকলাপে বাধা তৈরি করে।
গবেষণা প্রবন্ধের লেখক ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফর ফুড টেকনোলজিসের গবেষক ইগর ওয়াকিমেনকো জানান, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনের কারণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিষয়টি শুধু ক্যানসারের কারণই নয় এটি মাথা ব্যথা, প্রদাহ, ত্বকের সমস্যা প্রভৃতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ওয়াকিমেনকোর দাবি, তারহীন যন্ত্র থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয়তা মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে গবেষণালব্ধ তথ্য সে বিষয়টি পরিষ্কার করে তুলে ধরেছে। তাই মোবাইল ফোন ও তারহীন ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকেরা।