:: তাহসিন আহমেদ ::
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মানজারুল ইসলাম রানার ১৩ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের ১৬ মার্চ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র মানজারুল ইসলাম রানা। তার এমন অকাল মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো বাংলাদেশকে। টাইগার ক্রিকেটে অফুরন্ত সম্ভাবনা নিয়েই যে আগমন ঘটেছিল প্রয়াত এই অলরাউন্ডারের।
১৯৮৪ সালে খুলনায় জন্মগ্রহণ করা রানা ২০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই জাতীয় দলে অভিষিক্ত হন। ২০০৩ সালের ৭ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৬৮তম ওডিআই ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় তার।
২০০৩ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মানজারুল ইসলাম রানার। নিজের তৃতীয় বলেই আউট করেন ইংলিশ তারকা মাইকেল ভনকে। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট নেন তিনি।
‘৯৬’ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামতেন রানা। পরের বছর ১৯শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ৩৫তম টেস্ট ক্যাপ পরেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশের পক্ষে ৬টি টেস্ট আর ২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি।
বিশ্বকাপে খেলতে বাংলাদেশ দল তখন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে টাইগাররা। পরের দিন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, আগের দিন মানজারুলের মৃত্যুর ঘটনা। একই দিন রানার সাথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান আরেক ক্রিকেটার সাজ্জাদুল হাসান সেতু। খবরটা সবার আগে দেশ থেকে মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয় দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে। মানজারুলের এই আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে ভীষণ মুষড়ে পড়েছিল জাতীয় দল।
২০০৭ সালের ১৬ মার্চ মাত্র ২২ বছর ৩১৬ দিন বয়সে খুলনায় দূর্ঘটনায় মারা যান রানা।
তবে রানাকে হারানোর শোকে ভেঙে পড়ার বদলে সেটাকে শক্তিতে পরিণত করেছিল বাংলাদেশ। রানার সম্মানে জয় পেতে মরিয়া টাইগাররা সেদিন ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় করে দিয়েছিল।
মৃত্যুর আগে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন ভারতের বিপক্ষে ২০ ডিসেম্বর, ২০০৪। সর্বশেষ ওডিআই খেলেছিলেন কেনিয়ার বিপক্ষে, ২৫ মার্চ ২০০৫।