:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শনিবার রাত পৌনে ১১টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। গত ২৮ ডিসেম্বর তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন চার দফায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দুবার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে মামলা লড়তেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেনের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ বরগুনার বামনায়। ১৯৬৭ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবেও তিনি তালিকাভুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। অবশ্য পরে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হলে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের পক্ষে আদালতে আইনি লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। এরপর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদ পান। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ওই আসন থেকে এর আগেও অন্য দল থেকে একাধিক বার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিশিষ্ট এই আইনজীবীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শোকবার্তায় প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।