:: রাজশাহী প্রতিনিধি ::
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১,৫৯,৭৯৭ ভোট। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) নিয়ে পেয়েছেন ১৩,৩৯৩ ভোট।
বুধবার রাতে রাজশাহী সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী ছিলেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাকি তিনজন হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল)।
১৯৮৭ সালে যাত্রা শুরু করা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আগের তিনটি ভোটের সব গুলোতেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরমধ্যে ২০০৮ ও ২০১৮ সালের ভোটে তিনি মেয়র হন। ২০১৩ সালের ভোটে বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন লিটন।
খায়রুজ্জামান লিটনের পিতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। লিটন দীর্ঘদিন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী কমিটি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
রাজশাহী সিটিতে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ৬ জন।
বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জাবাবে জানান, রাজশাহীতে আনুমানিক ৫২ থেকে ৫৫ শতাংশ উপস্থিতি হয়েছে।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমরা দিনভর নির্বাচন মনিটরিং করেছি। আমি বলব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।