:: নাগরিক প্রতিবেদক ::
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তার পরিবার ও চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
শনিবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেই খালেদা জিয়াকে ভর্তি করানো হয়েছে।
রোববার সকালে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান নাগরিক নিউজকে বলেন, ‘শনিবার রাতে হাসপাতালে আসার পরই ম্যাডামের বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর চিকিৎসকদের টিম তাকে দেখে যান। তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্ত রিপোর্ট পর্যালোচনাও করেন তারা।’
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি আছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গৃহকর্মী ফাতেমা এবং কয়েকজন আত্মীয়স্বজন ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। শনিবার রাতে অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কয়েকটি পরীক্ষা করতে সময় লাগবে। সেজন্য বিএনপির চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেগম জিয়াকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসে তার। একই বছরের ১৫ এপ্রিল এভার কেয়ার হাসপাতালে সিটিস্ক্যান করানো হয়। ২৭ এপ্রিল কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রথম এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর প্রথম অপারেশন হয় খালেদা জিয়ার। পরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গত বছরের ১১ জুন আবারও এভার কেয়ারে ভর্তি হন। ২৪ জুন হাসপাতাল থেকে বিকাল ৫টায় বাসায় আসেন তিনি। এরপর থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন।