:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে তার পরিবার। রোববার ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন।
চিঠিতে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, চিঠিটি রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি দাস চিঠি পৌঁছে দেন।
শায়রুল কবির বলেন, এবিএম আব্দুস সাত্তার তাকে জানিয়েছেন ম্যাডামের মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আমরা আবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। চলতি মাসের ২৬ তারিখ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি দাস চিঠি পৌঁছে দেন।
শায়রুল কবির বলেন, এবিএম আব্দুস সাত্তার তাকে জানিয়েছেন মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আমরা আবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। চলতি মাসের ২৬ তারিখ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
দুই বছর দেড় মাস (৭৭৬ দিন) কারাভোগের পর শর্তসাপেক্ষে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকার বিশেষ আদালত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। বিচারিক আদালতের এ রায় পরিবর্তন করে হাইকোর্ট একই বছরের ৩০ অক্টোবর দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ছয় মাস করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত পাঁচবার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।