:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আগামীকাল ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের জন্য বিএনপিকে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। এই মাঠেই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার ডিবি কার্যালয়ের সামনে এ কথা জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধিদল গেলে তাদের সমাবেশের অনুমতির কথা জানায় পুলিশ।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান। প্রতিনিধিদলে ডা. জাহিদের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
ঘটনাস্থলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম চেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে খেলা চলায় সমাবেশ করা সম্ভব না। পুলিশের কাছে তারপর আমরা গোলাপবাগ মাঠের কথা বলেছিলাম।’
‘পুলিশ লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করতে বলেছিল। আমরা লিখিত আবেদন করেছি। তাঁরা অনুমতি দিয়েছেন। আমরা মাঠটি পরিদর্শন করে এখন সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নেব।’
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। তারা সব নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে। আমাদের সমাবেশ গোলাপবাগ মাঠেই হবে।’
গতকাল বুধবার রাতে প্রথম দফায় ডিএমপিতে যায় বিএনপির প্রতিনিধিদল। পুলিশের পক্ষ থেকে মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজের মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিএনপি কমলাপুর স্টেডিয়ামে সমাবেশ করতে চায় বলে জানায়। পরে আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ জানায়, কমলাপুর স্টেডিয়ামে সমাবেশ করতে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ সেখানে ফাইবার স্ট্রাকচার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।’
প্রায় তিন মাস আগে বিএনপি ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করতে বিএনপি নয়াপল্টনের জন্য অনুমতি চেয়ে গত ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছিল।
বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু ডিএমপি বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলে। পরে নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিকল্প ভেন্যু নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়।
সমাবেশস্থল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে মকবুল হোসেন নামের একজন নিহত হন। গ্রেফতার করা হয় ৩০২ জনকে। ভোর রাতে আটক করা হয় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে। এরপর থেকে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।