:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে এ নিয়ে ২৪২ জনের মৃত্যু হলো। গত অক্টোবরে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত মৃত্যু হলো ১০১ জনের। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বড় অংশই শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ সাধারণত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকলেও নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষ হতে চললেও প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর আসছে, সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শত শত মানুষ।
চলতি মাসে এমন একটি দিনও যায়নি যেদিন কোনো রোগী মারা যায়নি। অক্টোবরে যত মৃত্যু হয়েছিল, নভেম্বর তাকেও ছাড়িয়ে যায় কি না, সে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ১৪৫। এর মধ্যে ঢাকায় এ সংখ্যা ৩৫ হাজার ২৮৭ জন আর ঢাকার বাইরে ১৯ হাজার ৮৫৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২১ জন ডেঙ্গু রোগী। বর্তমানে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৯৬৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
এ বছরও সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৪৯ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে কন্ট্রোল রুম। এর মধ্যে ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন হাসপাতালে। ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শুধু কক্সবাজারেই মারা গেছেন ২৫ জন। এর মধ্যে বড় অংশটি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা।
২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। ওই বছর ডেঙ্গুতে মারা যান ৯৩ জন। এরপর ডেঙ্গুর সবচেয়ে বড় প্রকোপ দেখা দেয় ২০১৯ সালে। ওই বছর মারা যান ১৭৯ জন। করোনা মহামারি শুরুর বছর ২০২০ সালে মারা যান ৭ জন এবং পরের বছর মারা যান ১০৫ জন।