:: তালিমুল সায়েম::
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছিলেন বিশ্ব নেতৃত্বের বড় একটি অংশ। শোকবার্তার কয়েকটি তুলে ধরা হল:
১. রোনাল্ড রিগ্যান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান তার শোকবাণীতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুতে আমি শোকাহত ও মর্মাহত। যুক্তরাষ্ট্র গোটা বিশ্বে সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য গভীর আগ্রহ, আইনের শাসনের প্রতি নিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রগাঢ় প্রজ্ঞার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।” তিনি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্ট জিয়ার গভীর আগ্রহ ও প্রচেষ্টার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।”
২. মার্গারেট থ্যাচার
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তার শোকবাণীতে বলেন, “যার নেতৃত্ব ও দৃষ্টান্তে আপনাদের দেশ অগ্রগতি সাধন ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা অর্জন করেছিল, তাঁর নির্মম হত্যাকান্ডে আমি খুবই মর্মাহত।”
৩. লিওনিড ব্রেজনেভ
বর্তমান রাশিয়া অর্থাৎ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট লিওনিড ব্রেজনেভ তাঁর শোকবাণীতে বলেন, ” প্রেসিডেন্ট জিয়ার অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ এক গভীর সংকটে নিপতিত হল।”
৪. কুর্ট ওয়াল্ড হেইম
জাতিসংঘের মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ড হেইম তার শোকবাণীতে বলেন, ” প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তার মৃত্যুতে বিশ্ব একজন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরকে হারালো। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”
৫. ঝাউ ঝিয়াং
চীনের প্রধানমন্ত্রী ঝাউ ঝিয়াং তাঁর শোকবাণীতে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জাতীয় অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়ার ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন।
৬. ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের কাছে প্রেরিত এক শোকাবার্তায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, “আমি ফ্রান্সের জনগণের পক্ষে আপনাকে গভীর শোক জ্ঞাপন করছি।”
৭. পিয়েরে ট্রুডো
কানাডার প্রেসিডেন্ট ও গভর্নর জেনারেল পিয়েরে ট্রুডো তাঁর শোকবাণীতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়ার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে কানাডার সর্বস্তরের জনগণ গভীরভাবে শোকাহত। সংকটকালে তিনি দেশকে দৃঢ় এবং গতিশীল নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি শুধু বাংলাদেশেরই প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন, তৃতীয় বিশ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের একজন।”
৮. ইন্দিরা গান্ধী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর শোকবাণীতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের খবরে আমি মর্মাহত। প্রেসিডেন্ট জিয়া উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর রেখে দেশ পরিচালনা করেছিলেন। আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত প্রস্তাবে তাঁর দূরদৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায়।”
৯. বাদশাহ খালেদ
সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন খালেদ তাঁর শোকবাণীতে বলেন, ” ইসলামী উম্মার উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁর মৃত্যুতে ইসলামী বিশ্ব একজন মহান নেতাকে হারালো।”
১০. রাণী এলিজাবেথ
বৃটেনের রাণী এলিজাবেথ তাঁর শোকবাণীতে বলেন, ” প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর সংবাদে আমি মর্মাহত। আমি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
১১. ম্যালকম ফ্রেসার
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম ফ্রেসার তাঁর শোকবাণীতে বলেন, ” প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। গোটা অস্ট্রেলিয়া এই নির্মম হত্যাকান্ডে শোকাভিভূত। তাঁর নেতৃত্বে বিশেষ করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদান আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।”
১২. জিয়াউল হক
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক তাঁর শোকবাণীতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অকাল মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণ একজন মহান নেতা, একজন রাষ্ট্রনায়ককে হারালো যিনি তাঁর দেশের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও সমৃদ্ধির জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মর্যাদা নজিরবিহীনভাবে সমুন্নত করেছেন।”
১৩. হেলমুট স্মিথ
পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর হেলমুট স্মিথ তাঁর শোকবার্তায় বলেন, ” এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের জন্য বিরাট ক্ষতির।”
১৪. কেনান এভরেন
তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট জেনারেল কেনান এভরেন তাঁর শোকবাণীতে বলেছেন, ” প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি তাঁর দেশের ও জনসাধারণের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন।”
১৫. নিকোলাই চসেস্কু
রুমানিয়ার প্রেসিডেন্ট মি. নিকোলাই চসেস্কু তাঁর শোকবাণীতে বলেন, ” রুমানিয়ার জনগণের ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যার খবরে আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্ব একজন নিবেদিত প্রাণ নেতাকে হারালো।”
১৬. আরতি মুলডুন
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরতি মুলডুন তাঁর শোকবাণীতে বলেন, “গোটা নিউজিল্যান্ড প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকে আকুল। আসন্ন কমনওয়েলথ সম্মেলন এই মহান নেতার উপস্থিতি থেকে বঞ্চিত হবে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
১৭. শেখ জায়েদ বিন আন নাহিয়ান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন আন নাহিয়ান তাঁর শোকবাণীতে বলেন, ” প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি তার দেশের জনগণের সমৃদ্ধির জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।”
১৮. ফিদেল ক্যাস্ট্রো
কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো তাঁর শোকবাণীতে বলেন, ” কিউবার সরকার, জনগণ এবং আমি নিজে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর মৃত্যুতে জোটনিরপেক্ষ গোষ্ঠী একজন মহান নেতাকে হারালো। আমি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি।”
১৯. কিম ইল সুঙ
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম ইল সুঙ তাঁর শোকবাণীতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীন উন্নয়ন ও নতুন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতপ্রাণ।”
২০. দোয়েক উনাম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মি. দোয়েকি উনাম তাঁর শোকবাণীতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যু সংবাদে আমি গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি। সাথে সাথে আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে আমার গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
২১. সাদ্দাম হোসেন
ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন তার শোকবাণীতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ইরাকের সরকার, জনগণ ও আমি নিজে শোকাহত। সাম্প্রতিককালে ইরাক-ইরান যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য।”
এই শোকবার্তাগুলো থেকেই বুঝা যায়, আমরা কি সম্পদ হারিয়ে ফেলেছি!