:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (৪২) আগামী মাসে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শেষ কর্মদিবস হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি।
আজ বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণার পর আবেগী কণ্ঠে জেসিন্ডা বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাড়ে ৫ বছর কঠিন ছিল। আমিও একজন মানুষ। আমাকেও পদ থেকে সরে যাওয়া প্রয়োজন।
এক সংবাদ সম্মেলনে ৪২ বছর বয়সি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই গ্রীষ্মে, আমি শুধু একটি বছরের জন্য নয়, আরও একটি মেয়াদে দায়িত্বে থাকার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করার আশা করেছিলাম। কারণ এই বছরের জন্য এটিই প্রয়োজন। তবে আমি তা করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, আমি জানি এ সিদ্ধান্তের পর পদত্যাগের আসল কারণ কী তা নিয়ে অনেক আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদরাও মানুষ। যতক্ষণ সম্ভব আমরা যা কিছু দিতে পারি তা দিই। তার পর সরে যাওয়ার সময় আসে। আর আমার জন্য এখন সরে যাওয়ার সময়।
ক্ষমতাসীন নিউজিল্যান্ডের লেবার পার্টির নতুন নেতৃত্বের জন্য আগামী রোববার ভোট হবে। যিনি দলের নেতা নির্বাচিত হবেন, তিনি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আরডার্নের মেয়াদ শেষ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১৪ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন জেসিন্ডা। ২০২০ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতা জেসিন্ডা আরডার্ন হারান ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্সকে। তার দল লেবার পার্টি সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সেটি ছিল নিউজিল্যান্ডের ৫৩তম পার্লামেন্ট নির্বাচন। করোনাভাইরাস মহামারির সফল ব্যবস্থাপনার কারণে জেসিন্ডা দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের নির্বাচনে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বে তার দল।