:: ক্রীড়া প্রতিবেদন ::
প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা ৫ বিশ্বকাপে গোলের রেকর্ড গড়লেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে এটি তার অষ্টম গোল। আর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১৮তম।
পর্তুগাল-ঘানা ম্যাচের ৬৪ মিনিট পর্যন্ত গোলের দেখা নেই। শেষ আধ-ঘণ্টায় চরম উত্তেজনা। গোল হলো মোট পাঁচটি। পাঁচ গোলের সেই থ্রিলারে ঘানাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করলো পর্তুগাল। আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো গড়লেন একটি বিশ্বরেকর্ড।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার রোনালদো, যিনি পাঁচটি আসরে অংশ নিয়ে প্রত্যেকটিতেই গোল করলেন। ঘানার বিপক্ষে ৬৫তম মিনিটে পেনাল্টি কিকে রেকর্ডটি গড়েন তিনি।
প্রথমার্ধে দুটি বিগ চান্স মিস করেন রোনালদো। দশম মিনিটে মাঝমাঠে পজেশন হারান ঘানার মোহাম্মদ কুদুস। বল পেয়ে রোনালদোর উদ্দেশ্যে পাস বাড়ান বারনার্দো সিলভা।
ডিবক্সে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও গোল করতে পারেননি রোনালদো। তার প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন ঘানার গোলরক্ষক লরেন্স আতি-জিগি। তিন মিনিট বাদে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় রোনালদোর হেড। যে পজিশন থেকে হেডটা নিয়েছিলেন তিনি, সেখান থেকে অতীতে বহুবার গোল করতে দেখা গেছে তাকে। ৩১তম মিনিটে ঘানার জাল খুঁজে পান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। কিন্তু অফসাইডের পতাকা তুলে তাকে হতাশ করেন রেফারি।
বিরতির আগে রাফায়েল গুরেইরোর নিচু শট প্রতিহত হয় রক্ষণ দেয়ালে।
প্রথমার্ধে পর্তুগালে সাতটি শট নেয়, যার দুটি ছিল অনটার্গেটে। প্রথমার্ধে ঘানা কোনো শটই নিতে পারেনি।
৫৪তম মিনিটে ঘানার পক্ষে প্রথমবার পর্তুগালের গোলমুখে শট নেন আলিদু সেইদু। তবে পোস্টের বাইরে দিয়ে সেই শট চলে যায়। পরের মিনিটেই ভালো সুযোগ আসে ঘানার। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দারুণ গতিতে পর্তুগালের গোলমুখে ছুটে যান মোহাম্মদ কুদুস। বক্সের বাইরে থেকেই মাটি কামড়ানো শট নেন তিনি। যা ডানদিকের পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় বাইরে।
৬৫তম মিনিটে ডেডলক ভাঙার সুযোগ আসে। ডিবক্সে রোনালদো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
বিশ্বকাপে গোল করা সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে রজার মিলারের পরেই রোনালদোর অবস্থান। ১৯৯৪ আসরে ক্যামেরুনের সাবেক খেলোয়াড় রজার মিলার ৪২ বছর ৩৯ দিন বয়সে গোল করেন। রোনালদো গোল করলেন ৩৭ বছর ২৯২ দিন বয়সে। পেছনে ফেলেছেন সুইডেনের গুনার গ্রেনকে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ৩৭ বছর ২৩৬ দিন বয়সে গোল করেন গুনার।
৭৩তম মিনিটে সমতা টানে ঘানা, অধিনায়ক আন্দ্রে আইয়ু বল পাঠান পর্তুগালের জালে।
৭৮তম মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের অ্যাসিস্টে ফের দলকে এগিয়ে নেন জোয়াও ফেলিক্স। দুই মিনিট বাদে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন রাফায়েল লেয়াও। তার এই গোলেও ব্রুনোর অবদান। ফেলিক্স ও লেয়াও দু’জনেরই এটি প্রথম বিশ্বকাপ।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি ঘানা। ৮৯তম মিনিটে উসমান বুকারির গোলে ব্যবধান কমায় দলটি। তবে জাল অক্ষত রেখে থ্রিলিং জয় তুলে নেয় পর্তুগাল।