:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
রাজধানীর শাহাজাহানপুর ও গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ বিএনপির ২৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শাহজাহানপুর থানার মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, মো. ভাসানী চাকলাদার, মো. মহসীন, মো. হানিফ হোসেন বাবু, মো. বেলাল উদ্দিন, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম মজনু, মো. তারিকুল ইসলাম জিকির, মো. বাতেন, কাজী মো. জামাল, ইমরান খান ইমন, মো. সোহাগ ভূঁইয়া, আ. সালাম খান, আরিফুর রহমান সুজন, শেখ শহিদুল্লাহ টিপু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আব্দুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য, মো. সেলিম, আহমেদ ও হুমায়ূন কবির নাহিদ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের দণ্ডবিধির ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দণ্ডবিধির ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে আসামিদের ২ বছর করে সাজা ভোগ করলে চলবে বলে রায়ে বলেছেন আদালত।
অপরদিকে খালাসপ্রাপ্ত ৪৪ জন আসামিদের মধ্যে রয়েছে- মো. শফিউল ইসলাম বাবু, খন্দকার সেলিম আহম্মেদ, মো. তুহিন, জুয়েল ওরফে পাগলা জুয়েল, ফজলে রাব্বি, মো. মনিরুজ্জামান মুন্না, মো. মোস্তাক হোসেন, রাজু হোসেন রোমান, মো.সোহেল রানা মিঠু, মো. নাসিম, মো. আল আমিন কাজল, মো. মনির হোসেন, মো. মোশারফ হোসেন, মো. ইব্রাহিম, মো. শাখাওয়াত হোসেন সোহেল, মো. সালাউদ্দিন ওরফে সরোয়ার হোসেন, মো. নুর -এ -হেলাল রবি, মনসুর আলম, মির্জা ইউসুফ বিল জলিল, আহসান হাবিব হীরা, মো. স্বপন ভূঁইঁয়া, মো. শাহিন কাওছার, মো. বদরুল আলম সবুজ, মো. মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, এইচ আর সিদ্দিকী সাজু, আজিজ, আজহারুল ইসলাম মিলন, মো. ফারুক আহম্মেদ, মো. শামসুর রহমান হূমায়ুন, ফজলে রুবা্ইয়াত ওরফে পাপ্পু, মাসুদ ওরফে আসাদুল্লাহ মাসুদ, মো: শরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, ওয়াহেদ কামাল শিমুল, মোহন, মো. মনির হোসেন, আবুল হাসেন ওরফে লিলু, চাপ্পা শাহীন, আলমগীর ওরফে আজাদ, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, মো. নাসির উদ্দিন, আশরাফ ওরফে হামাই আশরাফ, সাইদুর রহমান ওরফে মামুন, মো. মোশারফ হোসেন চঞ্চল ও আশরাফুল ইসলাম অপু। খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আবুল হোসেন ওরফে লিলু, মো. শফিউল বারী বাবু ও মো. শামসুর রহমান হুমায়ূন মামলা চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, রাজধানীর শাহাজাহানপুর এলাকায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গুলশান থানার আরেক মামলায় বিএনপির নয় নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এ কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেহেদী বাপ্পী, মাইনুল হাসান প্রকাশ মিশু, শরিফুল, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান প্রকাশ মজি, মামুন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান, বিল্লাল হোসেন।
আসামিদের ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ১৪৩ ধারায় ছয়মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের একই আইনের ১৪৭ ধারায় দেড়বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আমিনুল ইসলাম নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল করে। এসময় যানবাহন ভাংচুরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের গুলশান থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।