:: নাগরিক প্রতিবেদক ::
গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে জুলাই মাসের ২৭ দিনে ১৭৮ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৪ হাজার ৭২৪ জনে।
চলতি বছরে ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫ জনে। এর মধ্যে নারী ১২৬ জন এবং পুরুষ ৯৯ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৪৮ জন এবং রাজধানীতে ১৭৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩৬১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৫৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৩৬১ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ১২২ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ২৩৯ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৩৬১ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪৬৭ জনে।
ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৮০৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৬৫৮ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ৭০২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ২৭ হাজার ২৭৭ জন এবং নারী ১৫ হাজার ২২৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ হাজার ১০ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাই মাসে শনাক্ত ৩৪ হাজার ৭২৪ জন এবং মারা গেছেন ১৭৮ জন।
২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরমধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন।