:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) চারটি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গুর ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভয়াবহ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে আছেন।
ডিএসসিসির ডেঙ্গুর ঝুঁকির মধ্যে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো ৫, ২২, ৫৩ ও ৬০।
দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, এক সপ্তাহে ডিএসসিসির আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে এই চারটিতে ১০ জনের বেশি রোগী পাওয়ায়, এগুলোকে রেড ওয়ার্ড হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
রোববার দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “সকল তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টা ওয়ার্ডের মধ্যে যেসব ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী পেয়েছি, সেসব ওয়ার্ডকে আমরা ‘লাল চিহ্নিত’ করেছি। লাল চিহ্নিত মানে বিপজ্জনক। সেখানে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সে আশঙ্কা থেকেই আমরা লাল চিহ্নিত করেছি এবং এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ত করেছি। বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, বাড়ির মালিক, সকল স্থাপনার মালিক, সকল সামাজিক সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস সবাইকে সম্পৃক্ত করে এই ওয়ার্ডগুলোতে আমরা দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সকালে লার্ভিসাইডিং ও বিকালে এডাল্টিসাইডিংসহ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব”।
২৩ আগস্ট মেয়র তাপস বলেছিলেন, ডিএসসিসির কোনো ওয়ার্ডে সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা পাওয়া গেলে, ওই ওয়ার্ডকে ‘লাল চিহ্নিত’ এলাকা ঘোষণা করা হবে।
ডেঙ্গুর রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত ৫নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকাগুলো হলো- কদমতলা বাসাবো, পূর্ব বাসাবো, মায়াকানন, সবুজবাগ, উত্তর মুগদাপাড়া ডেপুটি কলোনি, আহম্মদবাগ, রাজারবাগ উত্তর ও দক্ষিণ এলাকা।
২২ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় রয়েছে – বাড্ডানগর লেন, বোরহানপুর লেন, কুলাল মহন লেন, কাজীরবাগ লেন, নবীপুর লেন, হাজারীবাগ লেন, মনেশ্বর রোড, মনেশ্বর লেন, হাজারীবাগ রোড, কালুনগর, এনায়েতগঞ্জ, গণকটুলী, ভাঙ্গী কলোনি, নীলাম্বর সাহা রোড।
৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় রয়েছে – ফরিদাবাদ, কদমতলী, পশ্চিম জুরাইন মুরাদপুর হোল্ডিং ১ থেকে ৪৬ পর্যন্ত, ২৪/৩, ১ নম্বর সড়ক পূর্ব জুরাইন।
৬০ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় রয়েছে– দক্ষিণ রায়েরবাগ, মেরাজনগর (দনিয়ার অংশ), মদিনাবাগ, দক্ষিণ জনতাবাগ, ১৭৪৪ পলাশপুর, নুরপুর-১, নুরপুর-২, পাটেরবাগ, মুক্তধারা, ইসলামবাগ (রসুলবাগ, রহমতবাগ, শাহজালালবাগ), পলাশপুর, জনতাবাগ, স্মৃতিধারা।