:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় ট্রাইব্যুনালে নতুন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়ায় শুনানিতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, শুরু থেকে এই মামলাটি আমি করে আসছি। শুধু শ্রম আদালত নয়, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে আমি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলাটি করে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এখন আমি মামলাটি একাই করতে চাই। আমি বলেছি, আপানারা যে কোনো একজনকে দেন। একই মামলায় ২ জন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া সমীচীন মনে হচ্ছে না।
তবে ক্লায়েন্টকে বলেছি আমাকে না হয় উনাকে (সৈয়দ হায়দার আলী) যে কোনো একজনকে রাখবেন। দু’জনকে রাখলে আমি থাকব না।
এ দিকে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তর আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাটি শ্রম আদালতে বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে গত ২০ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিলে রুল খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর ফলে শ্রম আদালতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই।
গত ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।