:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
থাইল্যান্ডে রোববার ১৪ মে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ভোট গণনা চলছে। ভোট পরবর্তী এক জরিপে বিরোধী দলগুলোর বড় জয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৫টায়। দেশব্যাপী ৯৫ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে মোট ভোটার ৫ কোটি ২০ লাখ। এসব ভোটারের মধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখ ভোটার নতুন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। প্রথমবার নির্বাচনে ভোট দেন তারা।
মোট ৪০০ আসনের মধ্যে ৩২ শতাংশ আসনে জয় পেতে চলেছে ফিউ থাই। অন্যদিকে, মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ২৯ শতাংশ সরাসরি নির্বাচনী আসন এবং দলীয় তালিকাভুক্ত আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ২৯ শতাংশ সরাসরি নির্বাচনী আসন এবং দলীয় তালিকাভুক্ত আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেমোক্রেট পার্টি, উভয় ক্যাটাগরিতে তারা ১০ শতাংশ আসন পাবে।
চতুর্থ স্থানে আছে সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান ওচার রাজনৈতিক দল ইউটিএন। উভয় ধরনের ৮ শতাংশ আসনে দলটি জিততে পারে।
এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট গণনার খবর পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, আসনের ব্যবধানে ফিউ থাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে এমএফপি। এর আগে থাই নির্বাচন কমিশন জানায়, দেশব্যাপী ৯৫ হাজার ভোটকেন্দ্রের ফলাফল সমন্বিত করা হবে।
তবে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যায়, এবারের নির্বাচনে প্রগতিশীল দলগুলো প্রত্যাশার চেয়েও ভাল ফল করেছে । পার্টি তালিকার আসনগুলোতে প্রথম দিকে এগিয়ে রয়েছে তারা এবং সেই সঙ্গে নির্বাচনী আসনেও শক্তিশালী দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে।
এদিকে রাজধানী ব্যাংককের এমএফপির প্রচারাভিযানের সদরদপ্তরে জড়ো হন সমর্থকরা। এ সময় টেলিভিশনে প্রাথমিক ফলাফল দেখে উল্লাস করতে দেখা যায় তাদের।
থাই রাজনীতির ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৭০টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্রধান দুই বিরোধী দল ফেউ থাই ও মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) প্রার্থীরা মোট ৪০০টি নির্বাচনী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এর মধ্যে প্রগতিশীল বিরোর্ধী দলগুলোর গণতন্ত্রে ফেরার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অন্যরা দীর্ঘ নয় বছরের সামরিক সমর্থিত শাসনের পর শান্তির লক্ষে রাজকীয় জেনারেলদের সঙ্গে জোট বাঁধে।